
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ।। নানা নাটকীয়তা, টালবাহানা ও আলোচনা-সমালোচনার পর অবশেষে খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে নবম শ্রেণীর ছাত্রী মারমা কিশোরীকে ধর্ষণ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার এক সপ্তাহ পর গতকাল সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভিকটিম কিশোরীর পিতা মামলাটি (মামলা নং ২) দায়ের করেন।
মামলায় মো. আল আমিন (২৭), পিতা- আলীম উদ্দিন, গ্রাম- নুতন পাড়া এর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও তিন জনকে আসামি করা হয়েছে।
তবে ঘটনাটি গণধর্ষণের হলেও মামলার এজাহারে ‘ধর্ষণ চেষ্টা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এজাহারে ভিকটিম কিশোরীর সাথে প্রধান আসামি আল আমিনের ‘প্রেমের সম্পর্ক’ ছিল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
কিশোরীর পিতাকে বাদী করে মামলার যে এজাহারটি লেখা হয়েছে তা মূলত অপরাধী ও তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের যোগসাজশে লেখানো বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি থেকে রেহাই দেওয়া।
এদিকে আজ মঙ্গলবার সকালে মামলার প্রধান আসামি আল আমিনকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকা থেকে পুলিশ আটক করেছে বলে ইত্তেফাকের খবরে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট ২০২০ রাতে মো. আল আমিন এর নেতৃত্বে ৪ সেটলার যুবক ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করে। পরদিন ঘটনা জানাজানি হলে মহালছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা রতন কুমার শীল এক সালিশ বৈঠকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে অপরাধীদের রেহাই দেন এবং মামলা না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
এ নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার দেখা দেয়। কিন্তু চেয়ারম্যান রতন শীলের এই অনৈতিক সালিশের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।