ঢাকায় প্রগতিশীল ছাত্র ও নারী সংগঠনসমূহের মতবিনিময় সভায় সিদ্ধান্ত

আগামী ২৮ মার্চ ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন : অপহৃত দুই নেত্রী উদ্ধারসহ কর্মসূচী ঘোষণা

0
12

ঢাকা : রাষ্ট্রীয় মদদে চিহ্নিত দুর্বৃত্ত কর্তৃক অপহৃত দুই নেত্রীকে উদ্ধার, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও দেশীয় পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও আশু করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে গত রবিবার ২৫ মার্চ সন্ধ্যা সাতটায় ঢাকায় জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের কার্যালয়ে প্রগতিশীল ছাত্র ও নারী সংগঠনসমূহের মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন লড়াকু সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ), পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ)-এর আহ্বানে আয়োজিত এ সভায় দেশের প্রগতিশীল ছাত্র ও নারী সংগঠনসমূহের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। সভায় আগামী ২৮ মার্চ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অপহৃত দুই নেত্রীকে উদ্ধার ও সারাদেশে চলমান নিপীড়ন নির্যাতনের বিরুদ্ধে কর্মসূচি ঘোষণার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভানেত্রী নিরূপা চাকমার সভাপতিত্বে আহূত সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শম্পা বসু, বিপ্লবী নারী মুক্তির নাসিমা নাজনীন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ইমরান হাবিব রুমন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি এমএম পারভেজ লেলিন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবীর, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, ছাত্র ঐক্য ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক সরকার আল ইমরান, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, জাতীয় ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় সদস্য রাজু আহমেদ ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিনয়ন চাকমা। সভার শুরুতে উপস্থিত নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি মন্টি চাকমা ও দয়াসোনা চাকমাকে অপহরণ বিষয়ে ধারণা দিয়ে সভা পরিচালনা করেন ডিওয়াইএফ-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক থুইক্যচিং মারমা।

সভায় ছাত্র ও নারী নেতৃবৃন্দ বলেন, রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট দুর্বৃত্ত ‘মুখোশ বাহিনী’ কর্তৃক হিল উইমেন্স ফেডারেশনের দুই নেত্রী অপহরণ খুবই জঘন্য ও কাপুরুষোচিত। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা গণতন্ত্রমনা মানুষ এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য অশনিসংকেত। সভায় সরকার ও প্রশাসনের নিকট অপহৃত হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মন্টি চাকমা ও রাংগামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক দয়াসোনা চাকমাকে দ্রুত উদ্ধারের জোর দাবি জানানো হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিগত নিপীড়ন চলছে অভিমত ব্যক্ত করে বক্তারা আরও বলেন, শাসকগোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামে অব্যাহতভাবে দমনপীড়ন চালাচ্ছে, একের পর এক দুঃখজনক ঘটনা সংঘটিত করছে। সেনা শাসনে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ পিষ্ট।

সভা থেকে বক্তারা, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে অঘোষিত সেনা শাসন প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান। এছাড়া বক্তারা পাহাড় সমতলে মানুষের নিরাপত্তা বিধান এবং খুন-গুম বন্ধেরও দাবি জানান।

———————————

সিএইচটিনিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

Print Friendly, PDF & Email

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.