এটিএম আজহারের মামলার রায় বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেনি- গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট

0

গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের বিবৃতি

ঢাকা প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

এটিএম আজহারের মামলার রায় বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেনি বলে অভিযোগ করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।

আজ মঙ্গলবার (২৭ মে ২০২৫) এক বিবৃতিতে আপিল বিভাগের রিভিউ শুনানির রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এটিএম আজহারকে নির্দোষ ঘোষণা করার প্রতিক্রিয়ায় গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতৃবৃন্দ এ অভিযোগ করেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, “এটিএম আজহারের মামলায় আপিল বিভাগের রিভিউ শুনানির রায় হয়েছে আজ। রায়ে তাকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের গণদাবীকে প্রহসনে পরিণত করেছিল, নিজের ক্ষমতায় টিকে থাকার হাতিয়ার বানিয়েছিল এবং ত্রুটিপূর্ণ বিচার করেছিল। প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে তারা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, জাতির সাথে বেঈমানি করেছে। এতে বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে।”

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “এটিএম আজহার ও তার দল জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল এবং গণহত্যায় অংশগ্রহণ করেছিল। আওয়ামী লীগ আমলে ঘোষিত আজহারের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন থাকলে নতুন করে শুনানি শুরু করা যেত। সেটাই স্বাভাবিক আইনি প্রক্রিয়া। অথচ তা না করে রিভিউ শুনানির রায়ে তাকে নির্দোষ ঘোষণা করা হলো। এটিএম আজহারের মুক্তির প্রক্রিয়াটি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত। এর মাধ্যমে আদালতের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বিচার ব্যবস্থা যে এখনো পুরোমাত্রায় রাজনৈতিক প্রভাবাধীন–তা প্রমানিত হলো।”

নেতৃবৃন্দ রায় প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “আমরা এই রায় প্রত্যাখান করছি। মুক্তিযুদ্ধকে আওয়ামী লীগ যেভাবে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করেছে তাকে প্রতিরোধ করেছিল জুলাই গণঅভ্যুত্থান। জুলাই গণঅভ্যুত্থান গণতন্ত্র, ন্যায় বিচার এবং স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি করেছিল। দুঃখজনকভাবে এই রায় সেই প্রত্যাশাকে ভেঙে দিয়েছে। জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে মানুষের মধ্যে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, এই রায় সেই শঙ্কাকে আরও দৃঢ় করলো।”

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি তামজিদ হায়দার চঞ্চল, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অমল ত্রিপুরা , বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার এবং বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাওফিকা প্রিয়া।

গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিবৃতিটি সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More