ডেস্ক রিপোর্ট॥ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন এ্যমনেস্টি ইন্টারন্যাশন্যাল গত বৃহস্পতিবার তার বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন ২০১৭/১৮ প্রকাশ করেছে।
এতে ১৫৯টি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের মানবাধিকার পরিস্থিতি বর্ণনাকালে রিপোর্টে লংগদুর পাহাড়ি গ্রামে সেটলার হামলা, তার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ-ভুক্ত নারী সংগঠনের সমাবেশে সেনা-পুলিশী হামলা এবং ইউপিডিএফ সংগঠক মিঠুন চাকমাকে মামলা দিয়ে হয়রানি করার ঘটনা স্থান পেয়েছে।
নিচে রিপোর্টের পার্বত্য চট্টগ্রাম অংশটি অনুবাদ করে হুবহু প্রকাশ করা হল।
‘গত জুনে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার লংগদু শহরে আদিবাসী জনগণের উপর জনতার হামলায় কমপক্ষে এক ব্যক্তি নিহত হন এবং শত শত ঘরবাড়ি পুড়ে যায়। পুলিশ এবং সৈন্যরা আদিবাসী গ্রামবাসীদের রক্ষায় ব্যর্থ হয় বলে কথিত আছে। যারা এ হামলায় গৃহহীন হয়েছেন এ বছরের শেষ অবধি পর্যন্ত তাদের ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা যায় দৃশ্যত সৈন্যরা উক্ত সহিংসতার বিরুদ্ধে এবং ১৯৯৬ সালে আদিবাসী অধিকার কর্মী কল্পনা চাকমার গুম হওয়ার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদকারী ছাত্রদের উপর মাত্রারিক্ত শক্তি প্রয়োগ করছে। আদিবাসী অধিকার সংগঠক মিঠুন চাকমা “শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির” সমালোচনা করেছিলেন, যে পরিস্থিতিতে তাকে ১১টি বিভিন্ন মামলায় প্রতি মাসে আটবার কোর্টে হাজিরা দিতে বাধ্য করা হয়। এসব মামলার কয়েকটি আইসিটি এ্যক্ট-এর অধীনে করা হয়েছিল এবং মানবাধিকার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা লেখা সম্পর্কিত ছিল। এতে মানবাধিকার রক্ষক হিসেবে তার কাজে বাধা সৃষ্টি হয়।
_________
সিএইচটিনিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্রউল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।