কল্পনা চাকমাকে উদ্ধারের দাবিতে এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশন্যালের ‘ফটো এ্যাকশন’

0
14

Amnesty logoডেস্ক রিপোর্ট॥ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশন্যাল হিল উইমেন্স ফেডারেশন নেত্রী কল্পনা চাকমার অপহরণের ২০তম বার্ষিকীতে ‘ফটো এ্যাকশন’ কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। //myunseensister.tumblr.com

এ্যামনেস্টি তাদের ডিজাইন করা পোস্টার হাতে ছবি তুলে তা তাদের কাছে পাঠাতে অনুরোধ করেছে। আগামী ১২ জুনের আগে তা পাঠাতে হবে।

এ্যামনেস্টির ডিজাইন করা ছবিটি ইন্টারনেটে এই ঠিকানা থেকে ডাউনলোড করা যাবে (//we.tl/6wYdjg8YN7)। ‘অন্তর্ধানের বিশ বছর – এখনো বিচার হয়নি, কল্পনা কোথায়’ এই শিরোনামে পোস্টারটি বাংলা, ইংরেজী ও চাকমা এই তিন ভাষায় লেখা হয়েছে।Kalpana Chakma poster in Bengali

পোস্টারটি ডাউনলোড করার পর সেটি হাতে নিয়ে ছবি তুলে সেই ছবিটি এই ঠিকানায় পাঠাতে বলা হয়েছে //myunseensister.tumblr.com/submit

উল্লেখ্য, কল্পনা চাকমা ১৯৯৬ সালের ১২ জুন রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলাধীন নিউ লাল্যাঘোনা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে অপহৃত হন।

এ ঘটনার জন্য কজইছড়ি আর্মি ক্যাম্পের তৎকালীন কমান্ডার লে. ফেরদৌস, ভিডিপি সদস্য নুরুল হক ও সালেহ আহমেদকে দায়ি করা হয়।

দেশে বিদেশে ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে সরকার অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আব্দুল জলিলকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে বাধ্য হয়। কমিটি ১৯৯৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারী সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দিলেও তা আজ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।Kalpana Chakma poster in English

অপরদিকে কল্পনার ভাই কালিন্দী কুমার চাকমার দায়ের করা এজাহারের ভিত্তিতে বাঘাইছড়ি থানা পুলিশ এবং পরে সিআইডি-ও তদন্ত করে। কিন্তু তাদের রিপোর্টেও কল্পনা চাকমার অপহরণকারীদের সনাক্ত করা হয়নি।

মামলা দেয়ার চৌদ্দ বছর পর ২০১০ সালের ২১ মে বাঘাইছড়ি থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রথম চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলার বাদী কালিন্দী কুমার চাকমা উক্ত প্রতিবেদনের উপর নারাজী আবেদন করলে আদালত ২০১০ সালের ২ সেপ্টেম্বর অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন।

সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা এর দু’ বছর পর ২০১২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এই দু’টি তদন্তও করা হয়েছে আব্দুল জলিলদের মতো ঘটনাস্থল পরিদর্শন ছাড়া এবং গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের জবানবন্দী গ্রহণ ব্যতিরেকে।Kalpana Chakma poster in Bengali2

সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদনের উপরও নারাজী দেয়া হলে আদালত ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারী আরো অধিকতর তদন্তের জন্য রাঙামাটি পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন। তিনি আজ পর্যন্ত তার প্রতিবেদন দাখিল করেননি। উপরন্তু বিজ্ঞ আদালতে কালিন্দী কুমার চাকমার ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি প্রার্থনাসহ নানা অপ্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে এসে তিনি কালক্ষেপন করছেন বলে জানা গেছে।

শুরু থেকে সরকার ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অপহরণকারীদের আড়াল ও রক্ষা করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।
—————–

সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

Print Friendly, PDF & Email

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.