কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলার পুনঃ শুনানি আগামী ২২ মার্চ
রাঙামাটি: হিল উইমেন্স ফেডারেশন নেত্রী কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলার বাদী কালিন্দী কুমার চাকমার নারাজীর শুনানী আজ মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) রাঙামাটি জেলা আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কাজী মোহসিন-এর বিচারিক আদালতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আদালত আগামী ২২ মার্চ এ মামলার পূনরায় শুনানীর তারিখ ধার্য্য করেছেন।
শুনানীর সময় রাণী ইয়েন ইয়েন, খুশী কবীর, ইলিরা দেওয়ান, কল্পনা চাকমার মামলার আইনজীবী জুয়েল দেওয়ান ও কল্পনার বড় ভাই কালিন্দী কুমার চাকমাসহ মানবাধিকার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ১২ জুন বাঘাইছড়ি উপজেলার তৎকালীন কজইড়ি ক্যাম্প কমান্ডার লে. ফেরদৌস, পিসি সালেহ আহমেদ ও ভিডিপি সদস্য নুরুল হকের নেতৃত্বে নিউ লাল্যাঘোনার নিজ বাড়ি থেকে কল্পনা চাকমাকে অপহরণ করা হয়। এ অপহরণ মামলার ৩৯তম তদন্ত কর্মকর্তা রাঙামাটি পুলিশ সুপার তারিকুল হাসান গত ৭ সেপ্টেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন- “‘আমার তদন্তকালে ভিকটিমের অবস্থান নিশ্চিত না হওয়ায় তাহাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয় নাই। এই লক্ষে বিশ্বস্ত গুপ্তচর নিয়োগ ছাড়াও বাদীর পক্ষে এবং এলাকার লোকজনদের সহায়তা কামনা এবং বিভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টা করিয়াও ভিক্টিম কল্পনা চাকমাকে উদ্ধার এবং মামলার রহস্য উদঘাটন হয় নাই। বিধায় মামলা তদন্ত দীর্ঘায়িত না করিয়া বাঘাইছড়ি থানার চূড়ান্ত রিপোর্ট সত্য নং ০৩, তারিখ ৭/৯/২০১৬, ধারা ৩৬৪ দ: বি: বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করিলাম। ভবিষ্যতে কল্পনা চাকমা সম্পর্কে কোনও তথ্য পাওয়া গেলে বা তাহাকে উদ্ধার করা সম্ভব হইলে যথানিয়মে মামলাটির তদন্ত পুনরুজ্জীবিত করা হইবে।’
পুলিশ সুপারের এই তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে মামলার বাদী কল্পনা চাকমার বড় ভাই কালিন্দী কুমার চাকমা আদালতে নারাজী আবেদন করেন। এর উপর ভিত্তি করেই আজকের শুনানী অনুষ্ঠিত হয়।
—————-
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।