কাউখালীতে এক গ্রামবাসীর বাড়িতে সেনাবাহিনীর তল্লাশি!

0
তল্লাশির সময় এভাবে বাড়ির জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছবি: কাউখালী প্রতিনিধি


কাউখালী প্রতিনিধি
 ।। রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের ডেবাছড়ি গ্রামে গত শনিবার (২৩ অক্টোবর ২০২১) ভোররাতে সেনাবাহিনী কর্তৃক অম বিকাশ চাকমা (৪৫), পিতা-মৃত নাগর চান চাকমা নামে এক গ্রামবাসীর বাড়িতে তল্লাশি চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এ সময় তিনি সপরিবারে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়ায় বাড়িটি ছিল তালাবদ্ধ। কিন্তু বাড়িতে কোন লোকজন না থাকা সত্ত্বেও সেনা সদস্যরা তার বাড়ির দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে এবং কাপড় চোপড়সহ বাড়ির সকল জিনিসপত্র তছনছ করে দেয়। সেনাদের সাথে তাদের সৃষ্ট সন্ত্রাসী গ্রুপের ৬/৭ জন সদস্যও ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

সেনারা এসময় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা ব্রাশফায়ারও করে। রাতের অন্ধকারে হঠাৎ ব্রাশফায়ারের শব্দ শুনে এলাকার জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

অম বিকাশ চাকমার চাকমার স্ত্রী রেনুবালা চাকমা এ প্রতিবেদককে বলেন, “ঘটনার সময় আমরা পরিবারের সকলে রইস্যাবিলি বনবিহারে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে (২৩-২৪ অক্টোবর) অংশগ্রহণ করতে গিয়েছিলাম। বাড়িতে কেউ ছিল না। ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষে বাড়িতে ফিরে দেখি বাড়ির দরজা ভাঙ্গা ও বাড়ির ভিতরে জিনিসপত্র ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পরে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানতে পারি সেনাবাহিনীর লোকজন এসে নাকি আমাদের বাড়িতে তল্লাশি করে এমনটা করে দিয়েছে। আমরা বুঝতে পারছিনা আমাদের অনুপস্থিতিতে কেন বাড়িতে এমন তল্লাশি করা হলো”।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ‘তল্লাশি শেষে চলে যাবার সময় সেনাদের সাথে বেশ কয়েকজন পাহাড়ি ছেলেকেও দেখা গেছে। তারা ‘জুম্ম রাজাকার’ হতে পারে’।

এদিকে, রাতের অন্ধকারে সেনাদের এমন তল্লাশি ও অহেতুক ব্রাশফায়ার করে আতঙ্ক সৃষ্টির ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা এমন হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।


সিএইচটি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More