কাউখালী (রাঙামাটি) প্রতিনিধি : কাউখালী সেনা ক্যাম্পের কমাণ্ডার ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ শফিক-এর ইউপিডিএফ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলা ‘তাদের বাবারা আসুক, তখন বুঝবে মজা’ এই হুমকিমূলক বক্তব্যকে নান্যাচরের ন্যায় কাউখালীতেও নব্য মুখোশ বাহিনীকে নিয়ে আসার পাঁয়তারা বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল।
গতকাল শনিবার (২০ জানুয়ারি ২০১৮) সকাল ৯টার দিকে মোঃ শফিকের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের তালুকদার পাড়া ও ঘিলাছড়ি এলাকায় টহল দিতে আসে। এ সময় সেনারা এলাকায় কত পরিবার, পরিবারের লোকজনের নাম, পেশা, কতজন চাকুরীজীবী অথবা এনজিওতে কর্মরত কিনা, কার্বারীর নাম, স্কুলের সংখ্যা ইত্যাদি তথ্য লোকজনের কাছ থেকে জিজ্ঞেস করে নির্দিষ্ট ফরমে পূরণ করে নেয়। এরই এক পর্যায়ে জনৈক কার্বারীর কাছে কমাণ্ডার মোঃ শফিক ইউপিডিএফ সদস্যদের নাম ধরে তারা কোথায় অবস্থান করে তা জানতে চান এবং স্বগোক্তি করে বলেন, “তাদের বাবারা আসুক, তখন বুঝবে মজা!”
ক্যাম্প কমা-ার শফিকের এ বক্তব্যকে একদিকে হুমকি ও স্পষ্টতই নান্যাচরের মতো কাউখালীতেও নব্য মুখোশ বাহিনী আনার পাঁয়তারা বলে এলাকার সচেতন মহল মনে করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক মুরুব্বী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “নানিয়াচরে সেনাবাহিনী নব্য মুখোশ বর্মা-তরুদের যেভাবে প্রকাশ্যে নির্লজ্জভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে এলাকায় অরাজক ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে কাউখালীতেও একই পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা করা হচ্ছে, যা উক্ত সেনা কর্মকর্তার হুমকিমূলক বক্তব্যে বোঝা যায়।”
প্রায়শই এলাকায় এলাকায় সেনাবাহিনীর টহল এবং গতানুগতিক একই প্রশ্নে এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ এবং বিরক্ত। সেনাবাহিনীর এ হয়রানি থেকে তারা পরিত্রাণ চান।
__________
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।