ঢাকা : গত ১৯ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ি সদরে এইচএসসি পরীক্ষার্থী তুষার চাকমাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্য।
আজ বৃহস্পতিবার প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ইকবাল কবির ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্যের সমন্বয়ক আতিফ অনীক স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ এ দেশের নাগরিক। পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা বৃহত্তর ছাত্রসমাজের অংশ, আমরা তাদের সতীর্থ তথা ভাই হিসেবে গণ্য করি। তাদের ওপর যে কোন অন্যায় অবিচার আমরা মেনে নিতে পারি না।
বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, আমরা গভীর ক্ষোভ ও উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রতিনিয়তই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে। আমরা এও জানি যে, দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তা বাহিনী ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার উপস্থিতি অনেক বেশি। অথচ নিরাপত্তা বাহিনীর স্থাপনা-চৌকি বা পুলিশ ফাঁড়ির সন্নিকটস্থলেও খুন, অপহরণ ও সহিংস হামলা সংঘটিত হয়। গত বছর ১৮ আগস্ট খাগড়াছড়ি সদরের স্বনির্ভরবাজারের মতো জনসমাগম স্থলে হাটেরদিন পুলিশ চৌকি ও বিজিবি’র চেক-পোস্টের সন্নিকটে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা ৭ ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার পর বিজিবি সদর দপ্তরের গেইটের সম্মুখ দিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানা যায়। নিহতদের মধ্যে তিন জনই ছিল পিসিপি’র পদস্থ নেতা-কর্মী।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, রাঙ্গামাটির নান্যাচরে এইচএসসি পরীক্ষার্থী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রমেল চাকমাকে সেনা সদস্যরা পিটিয়ে খুন করে। তার মরদেহ সামাজিক প্রথামতে দাহও করতে দেয়া হয় নি, সেনা সদস্যরা পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে ফেলে, যা দেশের প্রচলিত আইন বিরুদ্ধ, সভ্য সমাজের রীতি পরিপন্থী।স্পষ্টতই এ ধরনের কাযকলাপ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার, যা দেশের বৃহত্তর স্বার্থের জন্যও শুভ নয়। আমরা দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে কোথাও কোন ধরনের অন্যায় দমন-পীড়ন মেনে নিতে পারি না।
বিবৃতিতে অবিলম্বে এইচএসসি পরীক্ষার্থী তুষার চাকমার খুনীদের গ্রেফতারসহ এ যাবৎ বিভিন্ন সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে খুন-গুম সহিংস হামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের জোর দাবি জানানো হয়।
——————-
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।