খাগড়াছড়ি জেলা সদরের টং রেস্টুরেন্ট এন্ড কনভেনশন সেন্টারে গতকাল(সোমবার) অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিঙে খাগড়াছড়ি সর্বজনীন বৈসাবি উদযাপন কমিটি বৈসারি র্যালি, ফুল ভাসানোসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষনা করেছে। প্রেস ব্রিফিঙে বলা হয়েছে, সংগঠনের পক্ষ থেকে আগামী ১২ এপ্রিল, ২০১৭ (বুধবার) সকাল ৯.০০ টায় মধুপুর বাজার থেকে বৈসাবি র্যালি বের করা হবে। র্যালি শেষ হবে উপজেলা সদর মাঠে। ১২ এপ্রিল ভোর ৫.০০ টা থেকে ৬.০০ টায় মধ্য খবংপজ্যায় চেঙ্গী নদীর পাড়ে চেঙে গাঙঅত ফুল দেনা বা ফুল ভাসানো কর্মসূচি আয়োজন করা হবে।আন্তঃজাতিগত সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় করার জন্য বৈসাবি(বৈসু-সাংগ্রাই-বিজু)’র প্রধান উৎসব আপ্যায়নের দিন বয়স্ক গণমান্য ব্যক্তিগণ একত্রিত হয়ে দলবদ্ধভাবে বাড়ি বাড়ি ঘুরে বৈসাবি’র খাবার খাবেন ও পারষ্পরিক শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। বৈসাবি’র শেষ দিন ১৪ এপ্রিল(শুক্রবার) নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে ও সকলের সার্বিক মঙ্গল কামনা করে মহাজনপাড়া সূর্যশিখা ক্লাবের সামনে সন্ধ্যা ৬.০০ টায় প্রদীপ প্রজ্জ্বালন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
উক্ত সকল কর্মসূচি সফল করার জন্য প্রেস ব্রিফিং থেকে প্রশাসনিতক কর্মকর্তা জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় মুরুব্বীদের কাছ থেকে সহযোগিতা কামনা করা হয়।
বৈসাবি উদযাপন কমিটি’র আহ্বায়ক রণিক ত্রিপুরা ও সাধারণ সম্পাদক তৃপ্তিময় চাকমা’র যৌথ স্বাক্ষরে সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক প্রেস ব্রিফিঙে এই কর্মসূচির কথা প্রকাশ করা হয়। প্রেস ব্রিফিঙে বলা হয়, গত ৩১ মার্চ, ২০১৭ খাগড়াছড়ি সদরের গণমান্য ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি ও মুরুব্বীদের নিয়ে এক সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত সভা থেকে রণিক ত্রিপুরাকে আহ্বায়ক ও তৃপ্তিময় চাকমাকে সদস্য সচিব করে ৪৪ সদস্য বিশিষ্ট সর্বজনীন বৈসাবি উদযাপন কমিটি ও ১৭ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়। উপদেষ্টা কমিটিতে রয়েছেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী রক্তোৎপল ত্রিপরা, প্রফেসর ড. সুধীন কুমার চাকমা, প্রাক্তন সচিব উক্যজেন মারমা, প্রফেসর বোধিসত্ব দেওয়ান, বিশিষ্ট ব্যক্তি বীরেন্দ্র কিশোর রোয়াজা, বিনোদ বিহারী চাকমা, জুম্ম শরনার্থী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক সন্তোষিত চাকমা বকুল, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রার্থনা কুমার ত্রিপুরা প্রমুখ।
প্রেস ব্রিফিঙে উপস্থিত ব্যক্তিগণ হলেন দীপায়ন চাকমা, ইউপি চেয়ারম্যান তপন চাকমা, সমাজসেবক অনুপম চাকমা ও নিপুল চাকমা প্রমুখ।
সর্বজনীন বৈসাবি উদযাপন কমিটি’র এ বছরের মূল প্রতিপাদ্য শ্লোগান হচ্ছে- নির্বিঘ্নে বৈসাবি পালনে চাই গণতান্ত্রিক পরিবেশ, জাতিসত্তা হিসেবে চাই সাংবিধানিক স্বীকৃতি।