নিজস্ব প্রতিবেদক, সিএইচটিনিউজ.কম
খাগড়াছড়িতে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের একটি ইউনিট স্থাপনের সরকারী সিদ্ধান্তে ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইউপিডিএফ-এর কেন্দ্রীয় নেতা সচিব চাকমা আজ ৮ অক্টোবর সোমবার এক বিবৃতিতে খাগড়াছড়িতের্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের একটি ইউনিট স্থাপনের সিদ্ধান্তকে ক্ষমতাসীন সরকারের চরম ফ্যাসিবাদী ও পাহাড়ি জনগণের প্রতি বৈরী মনোভাবের উলঙ্গ বহিঃপ্রকাশ আখ্যায়িত করে বলেছেন, ‘অপরাধ দমন নয়, জনগণের ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যুক্ত রাজনৈতিক নেতা-কর্মী-সমর্থকদের হয়রানি এবং আন্দোলন দমনই এর আসল উদ্দেশ্যে‘।
সচিব চাকমা বিবৃতিতে র্যাবকে সাধারণ জনগণের আতঙ্ক ‘কিলিং স্কোয়াড‘ অভিহিত করে আক্ষেপের সুরে বলেন, অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা হচ্ছে এই, নিরাপত্তা রক্ষার্থে নিয়োজিত বাহিনীর লোকজনই পাহাড়িদের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। লোগাঙ হত্যাযজ্ঞ থেকে সাজেক ধ্বংসযজ্ঞ প্রত্যেকটি মর্মান্তিক ঘটনার পেছনে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা-নিরাপত্তার দায়িত্বে নিযুক্ত সংস্থাসমূহের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ যোগসাজশ। আগামীতে পার্বত্য চট্টগ্রামের যে কোন অনাকাঙ্খিত দুঃখজনক ঘটনায়র্ যাব নামের সংস্থাটি নিশ্চিতভাবে যুক্ত হতে যাচ্ছে, এটাই সবচে‘ উদ্বেগজনক ঘটনা।
বিবৃতিতে ইউপিডিএফ নেতা সেনা ছাউনি সম্প্রসারণ-বৃদ্ধি কিংবা র্যাব ইত্যাদি বাহিনী মোতায়েন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় মন্তব্য করে আরো বলেন, পাহাড়ি জনগণের মন থেকে ভীতি-সন্দেহ দূর করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহে পাহাড়ি যুবকদের সম্পৃক্ত করাই হচ্ছে বাস্তব সম্মত। পার্বত্য চট্টগ্রামে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় দরকার হচ্ছে পাহাড়ি বাঙালি সমন্বয়ে গঠিত মিশ্র বাহিনী।
উল্লেখ্য, গতকাল ৭ অক্টোবর রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউন্দিন খান আলমগীর খাগড়াছড়িতে সফরে এসে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিউটিটের এক মতবিনিময় সভায় খুব শীঘ্রই খাগড়াছড়িতে র্যাবের একটি ইউনিট স্থাপন করা হবে বলে ঘোষণা দেন।