বিশেষ প্রতিবেদন, সিএইচটিনিউজ.কম
খাগড়াছড়ি: আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ি শহরে বাঙালি সেটলার কর্তৃক পাহাড়িদের উপর সাম্প্রদায়িক হামলার ৫ বছর পূর্ণ হল। ২০১০ সালের আজকের এই দিনে বাঙালি সেটলাররা স্থানীয় সামরিক বেসামরিক প্রশাসনের মদদে পরিকল্পিতভাবে খাগড়াছড়ি শহরের মহাজন পাড়া, কলেজ পাড়া, মধুপুর ও সাতভেইয়া পাড়ায় পাহাড়ি বসতি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও ব্যাপক লুটপাট চালায়। এতে পাহাড়িদের ৬০টির অধিক ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
সেদিন বাঙালি সেটলাররা যখন পাহাড়িদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়িতে হামলা,অগ্নিসংযোগ করছিলো তখন পুলিশ ছিল নীরব দর্শকের ভূমিকায়। তারা হামলাকারীদের বাধা দেয়ার কোন চেষ্টা করেনি। ঘটনা কাভার করার জন্য দায়িত্ব পালনরত এনটিভির সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদ, দেশ টিভির সাংবাদিক মংসা প্রু মারমা ও সাংবাদিক দিলীপ চৌধুরীকেও সেটলাররা মারধর করে। কিন্তু এতকিছুর পরও পুলিশ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের রাজত্ব শেষ হওয়ার পরই কেবল প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। রাতে জারি করা হয় কারফিউ। পরদিন খবংপুজ্যাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ডাক্তার, শিক্ষকসহ ৬০ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে আটক করে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী। শহরে মিছিল-মিটিঙের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এই হামলার ৫ বছর অতিক্রান্ত হলেও হামলার আসল উস্কানিদাতাদের বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক পদক্ষেপই গ্রহণ করা হয়নি। ফলে বিভিন্ন জায়গায় এ ধরনের ঘটনা বার বার ঘটছে।
সাম্প্রদায়িক হামলার ৫ম বার্ষিকী উপলক্ষে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন আজ বিকাল ৪টায় আলোচনা সভা ও সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্ব¦লন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। মহাজন পাড়া ও মধুপুর এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে সংগঠনের সূত্রে জানা গেছে।
——————-
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।