নিজস্ব প্রতিবেদক, সিএইচটিনিউজ.কম
খাগড়াছড়ি সদরের জিরো মাইল এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুই যুবকের মধ্যে সৃষ্ট কথা কাটাকাটি ও মারামারির ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রূপ দিয়ে পাহাড়িদের উপর হামলার ঘটনায় গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, সাজেক নারী সমাজ, সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটি, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি ও প্রতিরোধ সাংস্কৃতিক স্কোয়াড-এর নেতৃবৃন্দ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বুধবার সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক যুক্ত বিবৃতিতে আট সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ঘটনার নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, পাহাড়ে বৈসাবি উৎসব ঘনিয়ে এলেই সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলো তৎপর হয়ে ওঠে। পরিকল্পিতভাবে পাহাড়িদের উপর চালানো হয় সাম্প্রদায়িক হামলা। বার বার আমরা এটা প্রত্যক্ষ করে আসছি। বৈসাবি উৎসব শেষ হতে না হতেই গতকাল সংঘটিত এ ঘটনায় খাগড়াছড়ি তথা পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগণকে আবারো ভাবিয়ে তুলেছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক সাম্প্রদায়িক উস্কানিদাতাদের চিহ্নিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের কোন ঘটনা না ঘটে তার জন্য যথোপযুক্ত প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানান।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি সদরের জিরো মাইলের হর্টিকালচার পার্ক এলাকায় মোবাইল ভাঙাকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি ও বাঙালি দুই যুবকের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রূপ দিয়ে বাঙালিরা সংঘবদ্ধ হয়ে পাহাড়িদের উপর হামলা চালায়। তারা বিভিন্ন গাড়িতে আসা পাহাড়ি যাত্রীদেরও আক্রমণের চেষ্টা চালায় এবং গাড়ি ভাংচুর করে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এসময় বাঙালিদের হামলায় কমপক্ষে ৩ জন পাহাড়ি আহত হয়। এ ঘটনায় পাহাড়ি জনগণের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
আট সংগঠনের পক্ষে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক রিপন চাকমা স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।