খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়িতে এক পাহাড়ি তরুণী(১৯) তিন বাঙালি যুবক কর্তৃক জোরপূর্বক ধর্ষণের শিকার হয়েছে। আজ ৭ মার্চ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার পিষ্টতলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী সন্দেহভাজন তিন যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কে আধ ঘন্টা ব্যারিকেড সৃষ্টি করেছে বিক্ষুদ্ধ পাহাড়িরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মানিকছড়ির বাটনাতলী এলাকার ওই তরুনী(১৯) শুক্রবার গুইমারা থেকে জীপ গাড়িযোগে বাসায় ফেরার পথে গবামারা এলাকায় তাকে জোরপূর্বক নামিয়ে দেয় গাড়ীর হেলপার। পরে সেখানে ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল চালক শহীদুল ইসলামের সাথে ২শত টাকায় ভাড়া ঠিক করে মোটর সাইকেলযোগে ওই তরুণী বাড়ি ফিরছিল। কিছুদূর যাওয়ার পর গাড়ী নষ্ট হওয়ার অজুহাতে শহীদুল ইসলাম মোবাইলে আরো দুই সহপাঠিকে ডেকে নিয়ে আসে। এরপর তারা ওই তরুণীকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে পিষ্টতলা নামক স্থানে পৌঁছে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে উপর্যুপরি জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ধস্তা-ধস্তির এক পযায়ে ওই তরুণী পালিয়ে এসে প্রধান সড়কস্থ দোকানে ঘটনাটি খুঁলে বললে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম দ্রুত লোক পাঠিয়ে উক্ত যুবকদের ধরে ফেলে।
ধর্ষণকারী ওই তিন যুবক হলো-শামসুল হকের ছেলে মোটর সাইকেল চালক শহীদুল ইসলাম(২৫), সোহারাব হাওলাদারের ছেলে মোঃ মাহবুব আলম(২৭) ও ফজলুর ফরাজী ছেলে বিলাল হোসেন(২৪)।
আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনা আঁড়াল করতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান আটকদের পুলিশে কাছে সোর্পদ করে। পরে এ ঘটনার প্রতিবাদে খাগড়াছড়ি-চট্রগ্রাম সড়কের ধর্মঘর এলাকায় বিক্ষুদ্ধ পাহাড়ী যুবকরা পৌনে ৫টা থেকে সোয়া ৫টা পর্যন্ত সড়কে ব্যারিকেড সৃষ্টি করলে পুলিশ ও পাহাড়ি নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে ছুঁটে আসে। সন্দেহভাজন যুবকদের আটক করা হয়েছে এবং মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে আশস্থ করলে তারা ব্যারিকেড উঠিয়ে নেন।
এ প্রসঙ্গে মানিকছড়ি থানার ওসি কেশব চক্রবর্তী জানান, সন্দেহভাজন তিন যুবককে আটক করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষা জন্য খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ।
রামগড় সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ শাহাজাহান জানান, জনতা ৩জনকে আটক পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে । ধর্ষনের শিকার মহিলা পুলিশের হেফাজতে আছে। প্রথম অবস্থায় মেয়েটি অভিযোগের ভিত্তিতে লিখিতভাবে জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে ।