খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম
বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)-এর উদ্যোগে খাগড়াছড়ি কলেজে নবীণ বরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। “আপোষকামী ও সুবিধাবাদী ধারা প্রত্যাখ্যান করুন, ভাষা-সংস্কৃতি ও ইতিহাস চেতনার সংগ্রাম এগিয়ে নিন” এই শ্লোগানে আজ ১৫ জুলাই রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় খাগড়াছড়ি সরকারী কলেজের হলরুমে অনুষ্ঠিত নবীন বরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি কলেজ শাখার সভাপতি বিপুল চাকমা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)-এর কেন্দ্রীয় সদস্য মি. সচিব চাকমা, নির্বাচিত জুম্ম জনপ্রতিনিধি সংসদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও পানছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সর্বোত্তম চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক সুপ্রীম চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রীনা দেওয়ান ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক থুইক্যসিং মারমা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ধনীময় ত্রিপুরা ও উপস্থাপনা করেন সাধারণ সম্পাদক সোনায়ন চাকমা।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি কলেজ শাখার তথ্য ও প্রচার সম্পাদক ক্রইংজনা মারমা। এর আগে অনুষ্ঠানে আগত নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। খাগড়াছড়ি সরকারী কলেজ ও মহিলা কলেজের দুই তিন শ‘ জন নবীন শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে তোমরা আজ কলেজে পদার্পন করেছো। তোমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষণ সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। সমাজকে বিনির্মাণের কাজে তোমাদের শ্রম দিতে হবে অবিরত।
বক্তারা আরো বলেন, শুধু ভালো রেজাল্ট করলেই একজন ছাত্র ভালো ও আদর্শিক মানুষে পরিণত হয় না। একজন ছাত্রের অবশ্যই দেশ, জাতি ও সমাজের প্রতি মমত্ববোধ থাকতে হবে।
বক্তারা বলেন, সমাজে কোন জাতি যখন সংকীর্ণ স্বার্থে লালায়িত হয় সেটা কখনো স্বার্থক হয় না। এই সমাজ, এই রাষ্ট্র একটা বন্দীশালার মতো। কাজেই এই পেটিবুর্জোয়া শাসক শ্রেণীকে উৎখাত করে শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে।
বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিগত নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে। শাসকগোষ্ঠি বিভিন্নভাবে নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়ে আমাদের জাতীয় অস্তিত্ব ধ্বংস করে দিতে চাচ্ছে। প্রতিনিয়ত নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। বক্তারা সকল ধরনের নিপীড়ন নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য নবীন শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠান শেষে একটি সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা গান পরিবেশ করা হয।