সিএইচটিনিউজ.কম
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র মোঃ রফিকুল আলমের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে আড়াইমাইল ত্রিরত্ন বৌদ্ধ বিহারের জায়গা বেদখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী ও বিহার পরিচালনা কমিটির সূত্রে জানা যায়, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা সদর কৃষি গবেষনা কেন্দ্রের পাশে কংচাইরী মারমার রেকর্ডীয় ও ভোগ দখলীয় কিছু অংশ তৃতীয় শ্রেনী ভূমি ২০-২৫ বছর আগে ত্রিরত্ন বৌদ্ধ বিহারের জন্য দান করেন। সে নিজেও এলাকাবাসিকে নিয়ে এ বৌদ্ধ বিহারটি নির্মাণ করে দীর্ঘ বছর পরিচালনা করেছিলেন। এ বিহারের জায়গার অংশে সড়ক ও জনপথ বিভাগ তাদের শ্রমিক থাকার জন্য তখনকার একটি বসত-ঘর নির্মাণ করে। সেখানে শ্রমিক সাঁওতাল দুই পরিবার থাকতেন। পরবর্তিতে সড়ক ও জনপদের এ ঘরটি নষ্ট হয়ে গেলে তারা নিজেরাই ছোট ঝুপড়ি ঘর নির্মাণ করে বসবাস করেন। এভাবে চলছিলেন দীর্ঘ ২৫বছর।
একসময় কংচাইরী মারমা পরিবারসহ জেলা সদর শহরস্থ পানখাইয়া পাড়া সড়কের স্লুইস গেট নামক এলাকায় চলে যান। সেখানে গিয়ে তিনি বৌদ্ধ বিহারের জায়গা ছাড়া উপরের অংশে বিরাট জায়গা মোঃ মেয়র রফিকুর আলমের কাছে নাম-মাত্র মূল্যে বিক্রি করে দেন। পরে মেয়র রফিক জায়গা দখল নিয়ে বাগান সৃজন করেন। একসময় বিহারের জায়গাসহ দখল নিতে গেলে এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে তিনি পিছু হটতে বাধ্য হন। বিভিন্ন সময় জায়গাটি হাটিয়ে নেয়ার জন্য অব্যাহত চেষ্টায় ছিলেন মেয়র রফিক। সড়ক ও জনপদ বিভাগ নির্মিত শ্রমিক বাসায় থাকা সে সাওতালরা এক-এক করে রোগে সবাই মারা যায়। শুধু রয়ে যায় একমাত্র ছেলের বৌ রুপসি। সেই রুপসির সাথে আঁতাত করে মেয়র রফিক নাম মাত্র ক্ষতিপূরণ দিয়ে জায়গাটি বেদখলের চেষ্টা করছে।
এদিকে, এ খবর জানাজানি হলে বিহার কর্তৃপক্ষ ও এলাকার দায়ক-দায়িকাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, আড়াইমাইল ত্রিরত্ন বৌদ্ধ বিহারটি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ বৌদ্ধ কল্যাণ ট্রাষ্টের নিবন্ধিত একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। অসহায় সাঁওতালদের মানবিক বিবেচনায় সাময়িকভাবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জায়গাটিতে থাকতে দেওয়া হয়েছিল। আশ্রয় নেওয়া রুপসিদের দ্বারা বিহারের জায়গাটি মেয়র রফিকের হাতে চলে যাবে এমন প্রত্যাশা করে না বিহার কর্তৃপক্ষ ।
—————————
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।