খাগড়াছড়ি॥ খাগড়াছড়ি বাজারে জনতা সেনা-মদদপুষ্ট জেএসএস সংস্কারবাদী ও নব্য মুখোশ বাহিনীর চার দুর্বৃত্তকে গণ ধোলাই দিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর বারটার দিকে মাছ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
বিভিন্ন জনের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পেরাছড়া ইউনিয়নের ১৩ নং প্রকল্প গ্রামের বাসিন্দা মৃত গণমনি ত্রিপুরার ছেলে চন্দ্র কিশোর কার্বারী (৫০) আজ খাগড়াছড়ি বাজারে গেলে চার জন জেএসএস সংস্কারবাদী (নব্য মুখোশ বাহিনী) তাকে অপহরণের চেষ্টা চালায়।
তাকে নিয়ে টানা হেঁচড়ার এক পর্যায়ে তার এলাকার ৫-৬ জন সহ আরো অনেকে এগিয়ে এসে সংস্কারবাদীদের প্রতিরোধ করে। তারা সংস্কারবাদীদের ধরে আচ্ছা করে ধোলাই দেয়। পরে সংস্কারবাদী দুর্বৃত্তদের তিন জন কোনমতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এর কিছুক্ষণ পর ৮-১০ জন সংস্কারবাদী ঘটনাস্থলে এসে তিন যুবককে জোর করে ধরে শহরের মধুপুরে নিয়ে যায়। এরা হলেন মৃত অনি মোহন ত্রিপুরার ছেলে নিরঞ্জয় ত্রিপুরা (২০), সুখেন্দু বিকাশ ত্রিপুরার ছেলে ও এইচ.এস.সি শিক্ষার্থী বাবুল ত্রিপুরা (১৮) এবং সুকেন ত্রিপুরার ছেলে ও এসএসসি পরিক্ষার্থী অমিত কুমার ত্রিপুরা ১৭)। তাদের বাড়ি পেরাছড়ায় কালাধন কার্বারী পাড়া।
উক্ত তিন জনকে অপহরণের খবর জানতে পেরে পুলিশ ও জনতা তৎক্ষণাৎ মধুপুরে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এদিকে জনতার হাতে আটক সংস্কারবাদী দুর্বৃত্তটির পরিচয় ও তার ভাগ্যে কী ঘটেছে তা জানা যায়নি।
জুম্ম রাজাকার সংস্কারবাদী-নব্য মুখোশ বাহিনী দুর্বৃত্তরা গণধোলাইয়ের শিকার হওয়ায় অনেকে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হাই স্কুলের শিক্ষক এ প্রতিবেদককে বলেন, জনগণকেই এভাবে গণশত্রুদের শায়েস্তা করতে হবে। জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে, প্রতিরোধ করা ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই।
তিনি প্রতিরোধকারীদের সাহসী বীর হিসেবে প্রশংসা করে বলেন, দুর্বৃত্ত গণদুশমনদের নিজেদের কোন শক্তি নেই। জনগণ অসংগঠিত ও চুপ করে থাকে বলেই এরা দাপট দেখাতে পারে। কিন্তু জনতা সাহসের সাথে এক হয়ে উঠে দাঁড়ালেই সংস্কারবাদীদের মতো গণশত্রুরা পালানোর পথ পায় না।
গত আগষ্ট মাসে পেরাছড়া ও ভাইবোনছড়া জনগণের উত্থানে এ সত্য প্রমাণিত হয়েছে এবং আজও আর একবার তা সবাই দেখেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
———————
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।