চট্টগ্রাম : জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল (পূর্ব-৩ চট্টগ্রাম-পার্বত্য চট্টগ্রাম )সভাপতি এডভোকেট ভুলন ভৌমিক ও সদস্য সচিব এডভোকেট আমীর আব্বাস এক যুক্ত বিবৃতিতে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদদক সুকৃতি চাকমা, বন্দর থানার শাখার সভাপতি ক্লান্তময় চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের মহানগর শাখার সম্পাদক জিকো চাকমাকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে তাঁদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে দেয়া উক্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের প্রতিরোধকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা না করে সেনা ছত্রছায়ায় দমন-পীড়ন ও ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে সরকার ও শাসক শ্রেণী। অবিলম্বে এই দমন-পীড়ন ও ষড়যন্ত্রের ঘৃণ্য তৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আটককৃত নেতৃবৃন্দ সুকৃতি, ক্লান্তময় ও জিকোর মত নেতারা শুধু পাহাড়েই নয় সমতলে ও সারা দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের নিবেদিত কর্মী। পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিগত নিপীড়ন, জমি দখল, সমতলে মেহনতি জনগণের উপর নির্যাতন থেকে প্যালেস্টাইনে জনগণের উপর আগ্রাসনের প্রতিবাদে তাঁরা সোচ্চার। তাঁদেরকে গ্রেফতার করার ঘটনা পার্বত্য চট্টগ্রাামে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কর্মীদের লড়াইকে স্তব্ধ করার ধারাবাহিক তৎপরতার অংশ । এটি পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান শাসক শ্রেণীর দমন-পীড়ন-ষড়যন্ত্রের রাজনীতিরই আরেকটি ঘৃণ্য প্রকাশ।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিনা বিচারে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছে আইন শৃংখলা বাহিনী। গুম-গুপ্তহত্যা-ক্রসফায়ারের মধ্যে দিয়ে এক ফ্যাসিবাদের রাজত্ব কায়েম করেছে সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ সারাদেশে। এই অবস্থায় পার্বত্য চট্টগ্রামের অঘোষিত সেনাশাসনের মধ্যে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কর্মীদের অবস্থা সহজেই অনুমেয়। এই ফ্যাসিবাদী হামলা প্রতিরোধে সমতল ও পাহাড়ের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে যুব ফোরাম ও পিসিপির গ্রেফতারকৃত নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেন।
———————-
সিএইচটিনিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।