গুইমারা প্রতিনিধি॥ খাগড়াছড়ির গুইমারায় ইউপিডিএফ-এর এক নেতাকে রক্ষা করতে এলাকার জনগণ অত্যন্ত সাহসী ও প্রসংশনীয় ভূমিকা পালন করেছেন।
জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে সেনাবাহিনীর কুখ্যাত দালাল অংগ্য মারমার নেতৃত্বে ৮ জন জুম্ম রাজাকার ৪টি মোটর সাইকেল যোগে গুইমারা সদর থেকে চার কিলোমিটার পূর্বে কুকিছড়া মারমা পাড়ায় যায়। এরপর সেখানে তারা স্থানীয় চায়ের দোকানে বসে কর্মরত ইউপিডিএফ নেতা ঝিমিত চাকমাকে (৪০) জোর করে অপহরণের চেষ্টা চালায়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রায় অর্ধশত নারী পুরুষ ইউপিডিএফ নেতাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন। তাদের প্রতিরোধের মুখে ৭ জন দুর্বৃত্ত কোন মতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও কংজাই মারমাকে জনতা ধরে ফেলে ও গণ ধোলাই দেয়। পরে অবশ্য ভবিষ্যতে আর এ ধরনের কাজ করবে না এই শর্তে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এদিকে এ ঘটনার পর রাতে সেনাবাহিনীর একটি দল কুকিছড়া প্রাইমারী স্কুলে গিয়ে অবস্থান নেয়। আজ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনও তারা সেখানে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। তাদের সাথে ৩ জন জুম্ম রাজাকারকেও দেখা গেছে বলে স্থানীরা জানিয়েছেন।
অপহরণ চেষ্টায় নেতৃত্বদানকারী অংগ্য মারমা এলাকায় সেনাবাহিনীর কুখ্যাত দালাল ও সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। সে এক সময় জেএসএস-সংস্কারবাদী গ্রুপের সাথে যুক্ত ছিল এবং এলাকায় অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফিরা করে জনগণের ওপর জোর জুলুম করতো। এ কারণে এলাকার লোকজন এক সময় তাকে আটক করতে বাধ্য হয়েছিল।
ইউপিডিএফ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের প্রধান সংগঠক সচিব চাকমা কুকিছড়াবাসীর উক্ত সাহসী ভূমিকার ভূয়সী প্রসংশা করে বলেছেন, ‘জনগণকে অবশ্যই শত্রু-মিত্র চিহ্নিত করতে হবে। যারা জনগণের মিত্র বা বন্ধু তাদের রক্ষা করতে হবে এবং যারা জনগণের শত্রু, বদ-লোক বা জুম্ম রাজাকার তাদের বিরুদ্ধে দৃঢ়তার সাথে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। অর্থাৎ একজন কৃষকের মতো ক্ষেতের আগাছাকে সাফ করে বা উপড়ে ফেলে ধান গাছকে রক্ষা করতে হবে, তা না হলে ঘরে ফসল উঠবে না এবং তখন না খেয়ে উপোসে মরতে হবে।’
উল্লেখ্য, ঝিমিত চাকমা দীর্ঘ দিন ধরে ঐ এলাকায় ইউপিডিএফের সাংগঠনিক কাজ করছেন। তার বাড়ি লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার বর্মাছড়ি ইউনিয়নের গুইছড়ি গ্রামে।
—————
সিএইচটিনিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।