চট্টগ্রামে ইউপিডিএফ সংগঠক সুইপ্রু মারমাকে গ্রেফতার, মিথ্যা মামলায় জেলে প্রেরণ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
চট্টগ্রামে চিকিৎসার জন্য অবস্থানকালে ইউপিডিএফ সংগঠক সুইপ্রু মারমাকে(৪৯) গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সন্ধ্যায় র্যাব গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠিয়েছে।
সুইপ্রু মারমা খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার মুবাছড়ি ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়ার বাসিন্দা। তার পিতার নাম মৃত সুলাইপ্রু মারমা।
জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরীর চাঁন্দগাও থানাধীন চররাঙ্গামাটিয়া এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসা থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় র্যাব-৭ এর সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে। তবে তার কাছ থেকে অবৈধ কোন কিছু তারা পায়নি।
গ্রেফতারের পর রাতে র্যাবের হেফাজতে রাখার পর বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বায়েজিদ থানায় হস্তান্তর করার পর সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ও পেনাল কোডে মিথ্যা মামলায় তাকে চট্টগ্রামের আদালতে নেওয়া হয়। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
তাকে যে মামলায় আটক দেখানো হয়েছে তা হলো- সিএমপি এর বায়েজিদ বোস্তামি থানার এফআইআর নং-৪২, ১৮ মে ২০২৫, জিআর নং-২২৭, ধারা- ৬(২) এর (ই)/৬(২) এর (ঈ)/৭/৯/১০/১১/১২/১৩ সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯; তৎসহ 120B The Penal Code, 1860;
পেনাল কোডের মামলাটি দেখানো হয়েছে খাগড়াছড়ি সদর থানার এফআইআর নং-১০, তারিখ- ১৫ অক্টোবর ২০১৬ খ্রি; জিআর নং-৩৪২/১৬, তারিখ-১৬/১০/২০১৬খ্রি. ধারা- ১/৩৫৩/৩০২/৩৪।
চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানায় ‘কুকিচিন আর্মির পোশাক উদ্ধারের’ নামে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে যে মামলাটি চলমান রয়েছে সে মামলার সাথে সুইপ্রু মারমার কোন সম্পৃক্ততা নেই এবং তিনি কুকি চিনের সাথে কোনভাবেই জড়িত নন বলে জানিয়েছে তার পরিবার ও সংগঠন। মূলত পার্বত্য চট্টগ্রামে ইউপিডিএফের ওপর রাজনৈতিক দমন-পীড়নের অংশ হিসেবে তাকে গ্রেফতার করে মিথ্যা ও পরিকল্পিতভাবে উক্ত মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।
এদিকে, গত ৪ সেপ্টেম্বর ডিবিসি নিউজের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামে উদ্ধারকৃত পোশাকগুলো কুকিচিনের বলা হলেও সেগুলোর গন্তব্য ছিল মায়ানমার ও থাইল্যান্ডে। এর সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও জড়িত ছিল।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।