চবি’র নবীন পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের ‘গেট টুগেদার’ অনুষ্ঠিত

0

চবি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

“জুম পাহাড়ের নবীন প্রাণ, মেলায় তব প্রাণে প্রাণ, শিকড়ের চেতনায় দিই শাণ!” এই স্লোগানকে সমানে রেখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া নবীন শিক্ষার্থীদের গেট টুগেদার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর ২০২৪) বিকাল ৪টায় চাকসু’তে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবার এই গেট টুগেদার আয়োজন করে।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিলের প্রতিনিধি রাম্রা সাইন মারমা, ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরামের প্রতিনিধি দীপেন বিকাশ ত্রিপুরা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চবি শাখার সভাপতি রোনাল চাকমা, মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ধন কিশোর ত্রিপুরা, ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী বিপুলী চাকমা, ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সুদর্শন চাকমা প্রমুখ।

নবীন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন সজীব তঞ্চঙ্গ্যা, প্রেঙয়ি ম্রো, মলিপ্রু মারমা, মংসিনু মারমা, ইস্টি চাকমা এবং অরিয়ন চাকমা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী তিষ্য চাকমা।

নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগতম জানিয়ে রাম্রা সাইন মারমা বলেন,  প্রিয় জুম পাহাড় থেকে আসা শিক্ষার্থীদের নিজ শেকড়ের প্রতি মমত্ববোধ এবং দায়িত্ববোধ থাকতে হবে৷ নিজের অধিকারের প্রতি সচেতন থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পর্যাপ্ত জ্ঞান আহরণ করে বুদ্ধিবৃত্তিক কাজে জাতি ও সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

ধন কিশোর ত্রিপুরা বলেন, শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা দিয়ে প্রকৃত জ্ঞান অর্জন হবে না। পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কিত পাঠ্য-পুস্তক, বিভিন্ন আইন-কানুন জানতে হবে এবং সচেতন থেকে নিজেদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কোন বিভেদকে জায়গা দেওয়া যাবে না।  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত মমার্থ বুঝে বিভিন্ন ভাষা শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে জাতিকে বহির্বিশ্বে প্রতিনিধিত্বের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।

বিপুলী চাকমা বলেন, রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক কাজ করার পাশাপাশি একাডেমিক পড়াশোনায়ও নিজেকে মনোযোগী করে তুলতে হবে। নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। 

রোনাল চাকমা বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে আসা শিক্ষার্থীরা হল একই মায়ের সন্তানের মতন। আমাদের জীবন-জীবিকা, ঠিকে থাকা, অস্তিত্ব ও সংগ্রাম সবার জন্য এক এবং পরস্পর নির্ভরশীল। আমাদের পারস্পরিক যে ভ্রাতৃত্ববোধ রয়েছে সেটা আরো সুদৃঢ় করতে হবে। দুঃসময়ে এবং সুসময়ে নিজ জ্ঞাতি ভাইয়ের সাথে থাকতে হবে।”

আলোচনা পর্ব শেষে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয় এবং ছোট পুস্তিকা উপহার ও সাংস্কৃতিক আয়োজন করা হয়।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More