চলে গেলেন বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা মুবিনুল হায়দার চৌধুরী
নিজস্ব প্রতিনিধি ।। না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্কসবাদী) প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও বামপন্থি আন্দোলনের অন্যতম নেতা প্রবীণ রাজনীতিবিদ কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী। গতকাল মঙ্গলবার (০৬ জুলাই ২০২১) রাত ১০টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
বাসদের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরীর মরদেহ হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়েছে। তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগে চিকিৎসাবিজ্ঞানের কাজে ব্যবহারের জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় তার মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। তার আগে শহীদ মিলনের সমাধিস্থলে সংক্ষিপ্ত আয়োজনে মুবিনুল হায়দার চৌধুরীর মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।
কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরীর মৃত্যুতে বাসদ (মার্কসবাদী) তিন দিনব্যাপী শোক পালন কর্মসূচি নিয়েছে। এ সময়ে সংগঠনের সব দলীয় কার্যালয়ে পার্টির পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
চট্টগ্রামে জন্ম গ্রহণকারী মুবিনুল হায়দার চৌধুরীর বেড়ে ওঠা ভারতের কলকাতায়। একসময় তিনি ভারতের কমিউনিস্ট দল সোস্যালিস্ট ইউনিটি সেন্টারের সঙ্গে (এসইউসিআই) যুক্ত ছিলেন। একাত্তরে স্বাধীনতার পর তিনি দেশে ফেরেন।
১৯৮০ সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ভেঙে বাসদ হওয়ার পেছনে মুবিনুল হায়দারের সক্রিয় ভূমিকা ছিল।
২০১৩ সালে খালেকুজ্জামানের বাসদ থেকে বেরিয়ে বাসদ (মার্কসবাদী) গঠন করেন মুবিনুল হায়দার চৌধুরী ও শুভ্রাংশু চক্রবর্তী।
কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী দেশের শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি মানুষের মুক্তির সংগ্রামের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে পাাহড়ি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনেও সমর্থন যুগিয়ে গেছেন।
তাঁর মৃত্যুতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর সভাপতি প্রসিত বিকাশ খীসা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, মুবিনুল হায়দার চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। গত তিন মাস ধরে মেরুদণ্ডের ফ্র্যাকচার, হাত ও পায়ের প্যারালাইসিস, বেড সোর ও নিউমোনিয়ার চিকিৎসার জন্য তাঁকে বারবার হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত ২৭ জুন থেকে তিনি তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত কারণে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।