ঢাকা : রাঙামাটিতে সেনাবাহিনী কর্তৃক পিসিপি’র কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক কুনেন্টু চাকমাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ও তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ।
আজ রবিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় মিছিলটি মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে কলা ভবন হয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ঘুরে এসে অপরাজেয় বাংলার পাঠদেশে এক বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।
ছাত্রনেতা রিপন চাকমার সঞ্চালনায় পিসিপি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি বিপুল চাকমার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা বরুণ চাকমা ও পিসিপি ঢাকা মহানগরের সভাপতি রিয়েল ত্রিপুরা। এছাড়া সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এম এম পারভেজ লেলিন ।
বক্তারা বলেন, দেশে আজ কোথাও গণতন্ত্র নেই। দেশে গণতন্ত্রের সামান্য নমুনা থাকলে ছাত্রনেতা কুনেন্টু চাকমাকে অগণতান্ত্রিকভাবে গ্রেফতার হতে হতো না। ৩০ ডিসেম্বর কারচুপি নির্বাচনের পর শাসকগোষ্ঠী আরও মরিয়া হয়ে উঠছে। পাহাড়কে অস্থিতিশীল দেখাতে পারলে সেখানে অগণতান্ত্রিক সেনাশাসনকে বৈধতা দেয়া যায়। সেজন্য সেনাবাহিনী পরিকল্পিতভাবে আন্দোলনকামী ছাত্রদের অস্ত্র গুঁজে দিয়ে গ্রেফতার করে প্রমোশন বানিজ্য করে চলেছে।
বক্তারা আরো বলেন, দেশে বাস্তবিক অর্থে আইন কানুন চর্চা থাকলে নিরপরাধ পিসিপি নেতা কুনেন্টু চাকমা সেনাবাহিনী দ্বারা অন্যায়ভাবে গ্রেফতার হতো না। কারোর নামে মামলা মোকদ্দমা থাকলে সেটা দেখার জন্য পুলিশ প্রশাসন, আইন, আদালত আছে। সেনাবাহিনী অগণতানিকভাবে কোন নাগরিককে গ্রেফতার করতে পারে না। দেশে তো জরুরী অবস্থা চলছে না !
পার্বত্য চট্টগ্রামের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে নস্যাৎ করে দেয়ার জন্য শাসকগোষ্ঠী নানা ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, পাহাড়ের মানুষ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। সেজন্য তারা গণতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলন করে নিজেদের নৈতিক রাজনৈতিক অধিকার অর্জন করতে চায়। এভাবে যদি বারবার গণতান্ত্রিক আন্দোলনকামী নেতা-কর্মীদের ওপর শাসকগোষ্ঠী আঘাত করতে থাকে তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামে যেকোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির জন্য শাসকগোষ্ঠী দায়ী থাকবে বলে বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে ছাত্রনেতা কুনেন্টু চাকমাকে নিঃশর্ত মু্ক্তির জোর দাবি জানান।
—————
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।