জনপ্রতিনিধি ও কার্বারীসহ আটক ৬ গ্রামবাসীকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছে সেনাবাহিনী

0

সিএইচটি নিউজ ডটকম
Manikchariমানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি: মানিকছড়ি ও রামগড়ের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আজ মঙ্গলবার ভোর রাতের দিকে আটক জনপ্রতিনিধি (মেম্বার) ও গ্রাম প্রধান (কার্বারী) সহ আটক ৬ গ্রামবাসীকে সরাদিন আটক রাখার পর সন্ধ্যায় শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছে সেনাবাহিনী। হাফছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান উশ্যে প্রু মারমা ও পাতাছড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার মানেন্দ্র চাকমার জিম্মায় আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিন্দুকছড়ি জোন থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।

সিন্দুকছড়ি জোন কমান্ডার রাব্বি আহসান যেসব শর্তে তাদের মুক্তি দেয় সেগুলো হচ্ছে- ‘ভূমি বেদখলের প্রতিবাদে মিছিল-মিটিঙে অংশগ্রহণ করা যাবে না, ইউপিডিএফ’র সাথে সম্পর্ক রাখা যাবে না, সন্ত্রাসী বা চাঁদাবাজ (সেনাবাহিনীর ভাষায়) দেখলে সেনাবাহিনীকে খবর দিতে হবে, সেটলার বাঙালিদের সাথে সহাবস্থান করতে হবে,  সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয় এমন কোন বক্তব্য দেওয়া যাবে না।’

এদিকে হাতিমুড়া এলাকায় সেটলার বাঙালিরা পাহাড়িদের জায়গা বেদখল করে তৈরি করা তিনটি ঘর গতকাল রাতের মধ্যে নিজেরা ভেঙে ফেলে সাম্প্রদায়িক উস্কানি ছড়ানোর চেষ্টা করে। তবে অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনা খবর পেয়ে পরে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক, এসপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, গুইমারা ব্রিগেড কমান্ডার সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, রামগড়ের হাফছড়ি ও মানিকছড়ির বক্রি ও মনাদং পাড়া এলাকায় সেনাবাহনিীর সহায়তায় সেটলার কর্তৃক ভূমি বেদখলের প্রতিবাদ করার কারণে আজ ভোররাতের দিকে (রাত ২:৩০টা) সিন্দুকছড়ি জোনের একদল সেনা সদস্য রামগড় উপজেলাধীন হাফছড়ি ইউনিয়নের টিলাপাড়া থেকে ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার বিষু কুমার চাকমা (৫০), পিতা- নিশি মোহন চাকমা, মেমং মারমা (৪০), পিতা- উসাখই মারমা,  আথুইমং মারমা (৪০), পিতা সুইহ্লা প্রু মারমা ও মমং মারমা (৩২), পিতা-কংচাই মারমা, কালাপানি গ্রামের কার্বারী ক্রিঅং মারমা  এবং রাত ৩টার দিকে সেনারা মানিকছড়ির বক্রি পাড়া গ্রামের কার্বারী যুগেশ চন্দ্র চাকমা (৭০), পিতা- মৃত দীনবন্ধু চাকমাকে ঘুম থেকে তুলে অন্যায়ভাবে আটক করে সিন্দুকছড়ি জোনে নিয়ে গিয়ে সারাদিন সেখানে আটকে রেখে নানা হয়রানি ও মানসিক নির্যাতন চালায়।
———————

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More