‘জাতীয় অবমাননা দিবস’ উপলক্ষে রাঙামাটিতে অগ্রণী শিশু কিশোরদের গ্রাফিতি অঙ্কন

0

রাঙামাটি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

‘অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যের বিকল্প নেই’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ১০ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় অবমাননা দিবস’ উপলক্ষে রাঙামাটি সদর উপজেলার সাপছড়ি ও কুদুকছড়িতে গ্রাফিতি অঙ্কন করেছে অগ্রণী শিশু কিশোর কেন্দ্র (এসিসি)।

আজ রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) এসিসি’র সদস্যরা কাঁচা হাতে নিজেদের মতো করে সাপছড়ি কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও কুদুকছড়ির বিভিন্ন দেওয়ালে নানা লেখা ও চিত্র সম্বলিত গ্রাফিতি অঙ্কন করেন।

এসব গ্রাফিতিতে তারা ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তি ও ১৯৯৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি অস্ত্র কেড়ে নেয়ার মাধমে শেখ হাসিনা সন্তু লারমাাকে মূলা ধরিয়ে দেয়ার চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি “দালাল-চামচারা খড়খুটোর মতো ভেসে যাবে; আপোষ চুক্তিতে লাথি মার, পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের পথ ধর; গাধা জাতীয় স্বার্থ বিকিয়ে দিচ্ছো, বাইরে মাস্তানি ২ নাম্বারি করছো-চল বাড়িতে” ইত্যাদি লেখা ও চিত্র সম্বলিত গ্রাফিতিসহ “No Full Automony, No Rest; আমাদের শিশু-কিশোরদের রক্ষা করো; জাতীয় অস্বিত্ব রক্ষার্থে রুখে দাঁড়াও, প্রতিরোধ গড়ে তুলবো” ইত্যাদি লেখা প্রতিবাদী গ্রাফিতি অঙ্কন করেন।

উল্লেখ্য ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের পর ১০ ফেব্রুয়ারি ’৯৮ খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে সন্তু লারমার নেতৃত্বে জনসংহতি সমিতি তথা শান্তিবাহিনীর সদস্যরা ১ম দফায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অস্ত্রসমর্পণের মাধ্যমে সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। সন্তু লারমা নিজেই তার হাতে থাকে অস্ত্রটি শেখ হাসিনার কাছে তুলে দিয়ে সাদা গোলাপ উপহার নেন।

সেদিন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে হাজার হাজার দর্শকের সামনে তিন সংগঠন (পিসিপি-পিজিপি-এইচডব্লিউএফ)-এর নেতা-কর্মীরা No Full Autonomy No Rest লেখা ব্যানার উঁচিয়ে ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার আদায়ের আন্দোলন যে শেষ হয়ে যায়নি তা সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন।

তিন সংগঠনের পক্ষ থেকে সন্তু লারমার অস্ত্র সমর্পণের এই দিনটিকে (১০ ফেব্রুয়ারি) “জাতীয় অবমাননা দিবস” হিসেবে ঘোষণা করা হয়।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More