নান্যাচর॥ সেনাসৃষ্ট জারগো পার্টির সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে গণ প্রতিরোধ জোরদার হচ্ছে।
গঠনের পর পরই অনেকে নব্য মুখোশ বাহিনী ওরফে জারগো পার্টির সর্দার তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মাকে ফোন করে জোরালো প্রতিবাদ জানান।
নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জারগো সর্দারের ঘনিষ্ট একজন সাবেক ইউপি সদস্য সিএইচটি নিউজ ডটকমকে বলেন, ‘আমি বর্মাকে আর্মিদের জুম্ম জাতি ধ্বংসের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত না হতে এবং তার এই আত্মধ্বংসের পথ থেকে সরে আসার পরামর্শ দিয়েছি।’
উক্ত সাবেক মেম্বার আরো বলেন, ‘আমি বর্মাকে বলেছি, যাকে তুমি কয়েক দিন আগেও জুম্ম জাতির শত্রু মনে করতে এবং জনগণ এখনও যাদের শত্রু মনে করে, সেই সেনাবাহিনীর কোলে তুমি কীভাবে আশ্রয় নিতে পারলে? তোমার এই রাজনৈতিক দিগবাজি ও অধঃপতন সবার কাছে পরিস্কার হয়েছে।’
তিনি বর্মাকে নানিয়াচরে সেনাবাহিনীর এক সময়কার দালাল দাজ্যা ভূবন্যার নতুন সংস্করণ হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং বলেন এই পথ থেকে সরে না আসলে তার পরিণতি অত্যন্ত করুণ হতে বাধ্য। কারণ সেনাবাহিনী কোন দিন তাকে রক্ষা করবে না, ব্যবহার করবে মাত্র।
উক্ত সাবেক মেম্বার জারগো পার্টিকে লক্ষ্মীছড়ির অধূনালুপ্ত বোরকা পার্টির সাথে এবং বর্মাকে অনিল চাকমা ওরফে গোরকির সাথে তুলনা করে বলেন, ‘সেনাবাহিনী সন্ত্রাসী গোরকিকে রক্ষা করতে পারেনি। সে ছিল আর্মি, পুলিশ, তার নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী ও টিএনও প্রশাসন দ্বারা পরিবেষ্টিত। তার জন্য ছিল নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কিন্তু তারপরও তার শেষ রক্ষা হয়নি। তার নিজের কুকর্মের ফল তাকে শেষ পর্যন্ত ভোগ করতে হয়েছে। প্রবল গণ প্রতিরোধে সে প্রাণ হারায়।’
‘অবশ্য মৃত্যুর কয়েকদিন আগে সে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছিল এবং এজন্য সে এক পাবলিক মিটিঙে লোকজনের সামনে ঢুঁকরে ঢুঁকরে কেঁদেছিল।’
জারগো পার্টির সর্দার বর্মা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীরও একই পরিণতি ঘটবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
উক্ত সাবেক ইউপি মেম্বার ছাড়াও আরো অনেকে জারগো সর্দারকে ফোন করে তার গণ বিরোধী ও জাতীয় স্বার্থ পরিপন্থী ভূমিকার জোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক থুইক্যচিং মারমাও বর্মাকে ফোন করে তার ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানান।
——————
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।