রাঙামাটি প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
আজ ১২ নভেম্বর সকাল ১০টায় ইউডিএফ-কে সমর্থন ও সহযোগিতা করার কারণে জনসংহতি সমিতির সন্তু লারমা গ্রুপের প্রমেশ চাকমা ও তুফান চাকমার নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একদল সশস্ত্র সদস্য রাঙামাটি জেলার জুরাছড়ি উপজেলাধীন জামুরাছড়ি গ্রামে এক ব্যক্তিকে বেদম মারধর করেছে।প্রহৃত ব্যক্তির নাম নিরঞ্জন চাকমা(৩৭), পিতা-দয়া মোহন চাকমা। তিনি বর্তমানে আহত অবস্থায় নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এছাড়া সন্ত্রাসীরা এরপর তার কাছ থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনা মিডিয়ায় জানানো হলে এবং এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হলে তার পরিণতি এর চেয়ে ভয়াবহ হবে বলে তারা হুমকি দেয়।
দুই ব্যক্তি অপহৃত : একই দিনে ভোর ৬টার দিকে সন্তু গ্রুপের সন্ত্রাসীরা লুলংছড়ি গ্রাম(পশ্চিম পাড়া) থেকে ইউপিডিএফ-এরসমর্থক দুই গ্রামবাসীকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করেছে সন্ত্রাসীরা।অপহৃতরাহলেন ১নং জুরাছড়ি ইউনিয়নের প্রাক্তন মেম্বার চিগোন মরত চাকমা(৪৫), পিতা-কালী চরণ চাকমা ও প্রতিময় চাকমা(৩৮) পিতা- ভারতবর্ষ চাকমা।
এলাকাবাসীরসূত্রে জানা যায়, আজ ১২ নভেম্বর ভোর আনুমানিক ৬টায় জনসংহতি সমিতির সন্তুগ্রুপের প্রমেশ চাকমার নেতৃত্বে ১০-১২ জন সশস্ত্র সদস্য উক্ত দুইগ্রামবাসীকে তাদের নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করে।অপহরণকালে ত্রাস সৃষ্টির জন্যতারা বন্দুক থেকে ৪টি ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে।
ইউপিডিএফ-এর নিন্দা : ইউপিডিএফ-এররাঙামাটি জেলা ইউনিটের প্রধান সংগঠক শান্তিদেব চাকমা উক্ত অপহরণ, মারধর ও টাকা লুটের ঘটনারতীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে অপহৃতদের উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধেপ্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে দাবি তুলেছেন।
তিনিসন্তু লারমাকে ধ্বংসাত্মক রাজনীতি ও অপহরণ বাণিজ্য বন্ধ করে জনগণেরন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এইভাবে নির্বিচারে খুন, অপহরণ ও নির্যাতন চালিয়ে ইউপিডিএফ-কে কখনোই ধ্বংসকরা যাবে না।বরং এই অপরাজনীতি সন্তু গ্রুপের ধ্বংসই ডেকে নিয়ে আসবে।