রাঙামাটি প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
গত ১ জুলাই রাঙামাটির জুরাছড়িতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তিন গ্রামবাসীর ওপর অকথ্য শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)রাঙামাটি জেলা ইউনিটের প্রধান সংগঠক শান্তিদেব চাকমা ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম জুরাছড়ি শাখার সভাপতি মহারঞ্জন চাকমা এক যুক্ত বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের শাস্তিও নির্যাতিতদের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, গত ৩০ জুন গভীর রাতে রাঙামাটি ব্রিগেড থেকে এক মেজরের নেতৃত্বেএকটি সেনা দল কাপ্তাই ব্রিগেডের অধীন সামিরা জুরাছড়ি গ্রাম গ্রাম ঘেরাওকরে।এ সময় তাদের সাথে গাইড হিসেবে ছিল জনসংহতি সমিতির সন্তু গ্রুপেরসদস্য সিদ্ধার্থ, বারিজ্যা, হরণ ও নির্মল।তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে খুনসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে।
ভোর হলে সেনা সদস্যরা বন চন্দ্র চাকমা(৫৫), তার ছেলে পূর্ণ কুমার চাকমা ওপ্রতিবেশী কর্মধন চাকমাকে(৪৫) জিজ্ঞেস করে ইউপিডিএফ-এর সদস্যরা কোথায়থাকে।তারা জানে না বলে উত্তর দিলে তাদের ওপর বেদম মারধর করে মুমুর্ষঅবস্থায় ফেলে রেখে যায়।বেপরোয়া নির্যাতনের সময় কর্মধন চাকমা চোখে সাংঘাতিক আঘাত পান।সুচিকিসানা হলে তার চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
ইউপিডিএফনেতা শান্তিদেব চাকমা ও ডিওয়াইএফ নেতা মহারঞ্জন চাকমা নিরীহ জনগণের ওপর এধরনের অত্যাচার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অতীতে সেনা সদস্যদের চরমঅমানবিক অত্যাচার, নির্যাতন ও জোর জুলুম সহ্য করা হলেও আর সহ্য করা হবেনা।তিনি সেনাবাহিনীর অত্যাচারের সহযোগী সন্তু গ্রুপের উক্ত চার সদস্যকেগ্রেফতার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান।