খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নে জেএসএস সংস্কারবাদী সদস্য মঞ্জু চাকমা হত্যার ঘটনা গণ অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছে ইউপিডিএফ।
আজ সোমবার ৮ অক্টোবর ২০১৮ ইউপিডিএফ দীঘিনালা ইউনিটের সংগঠক অতুল চাকমা এক বিবৃতিতে উক্ত মন্তব্য করে বলেন, যে এলাকায় হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটেছে সেখানে সংস্কারবাদীদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। জন্ম লগ্ন থেকে ইউপিডিএফ কোনদিন ঐ এলাকায় যেতে পারেনি।
সংস্কারবাদীদের অভিযোগ আগাগোড়া প্রত্যাখ্যান করে অতুল চাকমা বলেন, মঞ্জু চাকমা (বয়স ৪৫, পিতা মৃত মহেন্দ্র চাকমা, গ্রাম দুলুছড়ি তারাবনিয়া, ৩ নং কবাখালি ইউনিয়ন, দীঘিনালা) এক সময় গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাথে যুক্ত ছিলেন। মদ-জুয়ায় আসক্তি ও বিভিন্ন কেলেংকারীতে জড়িত থাকাসহ সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হলে তিনি জেএসএস সংস্কারবাদী গ্রুপের সাথে যুক্ত হন। এই গ্রুপে তাকে মেরুং-এর ইয়ারেংছড়ি শিমূলতলি এলাকায় বিচার বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়।
এখানেও তার বিরুদ্ধে বিচারে পক্ষপাতিত্ব করা, ঘুষ নেয়া, জোর করে টাকা আদায় ও নারী কেলেংকারীসহ বহু অভিযোগ রয়েছে বলে জানা যায়। কিছুদিন আগে (২ অক্টোবর) সংস্কারবাদীদের দুই সদস্য সেনাবাহিনীর হাতে আটক ও নির্যাতিত হওয়ার পেছনেও তার হাত রয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়। হত্যাকাণ্ডের একদিন আগে অর্থাৎ ৬ অক্টোবর মঞ্জু চাকমা ইয়ারেংছড়ি বাজার থেকে এক বাঙালিকে ধরে নিয়ে এসে সাংঘাতিকভাবে মারধর করেন ও তার কাছ থেকে টাকা পয়সা কেড়ে নেন। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এসব অপকর্মের কারণে তার বিরুদ্ধে মেরুং-এ পাহাড়ি বাঙালি সকল মহলের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ এবং নিজ দলের মধ্যে তার ব্যাপারে গভীর সন্দেহ রয়েছে। ঠিক এই প্রেক্ষাপটে দীঘিনালা-লংগদু সড়কের সন্নিকটে শিমূলতলি দোকানে আড্ডা দেয়ার সময় গতকাল রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় অজ্ঞাতনামা ঘাতকরা তাকে হত্যা করে।
ইউপিডিএফ নেতা অতুল চাকমা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে বিচারের দাবি জানান।
———————
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।