সিএইচটি নিউজ ডটকম
ঢাকা: জেএসএস-সন্তু গ্রুপের পররাষ্ট্র মন্ত্রী, নয়াদিল্লীতে বসবাসরত করুণালংকার ভিক্ষু সিএইচটি নিউজ ডটকমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে (ফোন: +৯১-১১-২৫৩৯৮৩৮৩ এবং +৯১-৭৮২৭৮১৩৩৩৬) বলেছেন, জেএসএস-সন্তু গ্রুপের প্রধান ফাটল মঙ্গল কুমার চাকমার মত অদক্ষ, অকাজের, সংবেদনহীন কর্মী।
করুণালংকার ভিক্ষু বলেন, জেএসএস-সন্তু গ্রুপের কর্মীরা মানুষকে বুঝিয়ে কথা বলতে জানে না, সাধারণ মানুষের কথা তারা ভালভাবে শুনে না, সমস্যার সমাধান করতে পারে না। এজন্য তিনি মঙ্গল কুমার চাকমার দৃষ্টান্ত দেন। সে কারণে জেএসএস-সন্তু গ্রুপ অগ্রগতি লাভ করতে পারছে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
করুণালংকার ভিক্ষু অতীতের একটা দৃষ্টান্ত দিয়ে বলেন, ২০০১ সালে তিনি সন্তু লারমার সাথে মিলিত হতে রাঙামাটিতে যান। ওই সময় নানিয়াচর থেকে একজন বৃদ্ধ লোক, যিনি মঙ্গল কুমার চাকমার আত্মীয়, জেএসএস-সন্তু গ্রুপের অফিসে সন্তু লারমার কাছ থেকে তার ছেলের ফরম ফিলাপের জন্য ১৫০০ টাকা সাহায্য চাইতে আসেন। কিন্তু কেউ তাকে সাহায্য করলো না। মঙ্গল কুমার চাকমা নিজের আত্মীয় হওয়া সত্তেও কোন কথা বললো না। কারণ বৃদ্ধ লোকটা যেহেতু নানিয়াচর থেকে এসেছিল সেহেতু জেএসএস-সন্তু গ্রুপের কর্মীরা মনে করছিল নানিয়াচরে সবাই ইউপিডিএফের সমর্থক। কারণ নানিয়াচর ইউপিডিএফ নিয়ন্ত্রিত এলাকা। কমিটির কোনো তাঁর লোক কথা বললো না। বৃদ্ধ লোকটিরওতো নিজেরও মান-মর্যাদা রয়েছে। শেষ পর্যন্ত বৃদ্ধ লোকটা মঙ্গল কুমার চাকমার কাছে গেলেন। কিন্তু আত্মীয় হওয়া সত্তেও মঙ্গল বাবু কোনো কথাই বললেন না। পরে তিনি (করুনালংকার ভিক্ষু) দোতলা থেকে নেমে বৃদ্ধ লোকটির সাথে কথা বলে নিজের কাছ থেকে ১৫০০ টাকা সাহায্য দিয়ে সমস্যা সমাধান করে দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।
“এতগুলো কর্মী কি ১৫০০ টাকাও সাহায্য করতে পারল না? বৃদ্ধ লোকটি আমাকে ভান্তে হিসাবে সালাম করলেন এবং খুবই খুশি হলেন। সেই খুশিই আমার সুখ।” – করুণালংকার ভিক্ষু বলেন।
করুণালংকার ভিক্ষু আরো বলেন- “আমি এ ধরনের অনেক সমস্যা, জমিনের সমস্যা লিডারকে (সন্তু লারমা) বলে দিল্লি থেকে সমাধান করে দিয়েছি। কিন্তু জেএসএস-সন্তু গ্রুপের কর্মীদের অপরের কথা শুনার মন মানসিকতা নেই। এটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা।”
——————-
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।