ডিওয়াইএফ’র মাটিরাঙ্গা উপজেলা শাখার ৭ম কাউন্সিল সম্পন্ন, ১৫ সদস্যের নতুন কমিটি গঠিত

0

মাটিরাঙ্গা প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

“জাতীয় অস্তিত্ব সংকটে যুবশক্তি এক হও, পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধ সেনাশাসন ও পাহাড়ের নারী ধর্ষণ, ভুমি বেদখলের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম বেগবান করি” এই আহ্বানে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ)-এর মাটিরাঙ্গা উপজেলা শাখার ৭ম কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে। এতে ১৫ সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১৬ মে ২০২৫) সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত কাউন্সিল অধিবেশনে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের মাটিরাঙ্গা উপজেলা সভাপতি রিকেন চাকমার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রনি ত্রিপুরার সঞ্চালায় বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর সংগঠক বিকাশ ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুইচিং মারমা ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ গুইমারা উপজেলার সভাপতি নিকেল চাকমা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদস্য রিপন ত্রিপুরা।

অধিবেশন শুরুতে পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার আদায়ের লক্ষে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের উদেশ্য দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

ইউপিডিএফ সংগঠক বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান নিপীড়নমূলক পরিস্থিতিতে যুব সমাজকে আরো সংগঠিত হতে হবে। যুব ফোরামের পতাকাতলে যুব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, যুব শক্তিই হচ্ছে দুনিয়ার সবচেয়ে প্রতিবাদী শক্তি। বিশ্বের প্রত্যেক বিপ্লবী সংগ্রামে যুব সমাজের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের যুব সমাজকেও অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বলিষ্ট ভূমিকা রাখতে হবে।

আজকের এই কাউন্সিলে যারা দায়িত্বে আসবেন তারা আগামীতে মাটিরাঙ্গা উপজেলার যুব সমাজকে সংগঠিত করতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ছাত্রনেতা নিকেল বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ছাত্র-যুবকদের করণীয় হচ্ছে সঠিক রাজনৈতিক লাইনে সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়ে জাতির অস্তিত্ব রক্ষার্থে আন্দোলনে এগিয়ে আসা। ছাত্র-যুব সমাজ সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ হলেই কেবল আন্দোলন বেগবান করা সম্ভব হবে।


যুবনেতা সুচিং মারমা বলেন, যুব সমাজ আজ মেধাশক্তি হারিয়ে ফেলছে মদ, জুয়ায় আসক্ত হয়ে। এই দিশাহীন যুব সমাজকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য যুব ফোরামকে সঠিকভাবে কাজ করতে হবে। আজকে যারা সংগঠনের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেবেন তাদেরকে সুশৃঙ্খলভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে রিকেন চাকমা বলেন, চলমান নিপীড়নমূলক পরিস্থিতিতে যুব সমাজকে ঘরে বসে থাকলে হবে না। আমাদের নিপীড়িত জনগণের ন্যায্য দাবি পূর্ণস্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বেগবান করতে যুব সমাজকে আন্দোলনে সামিল হতে হবে।

তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি নারী ধর্ষণ-নির্যাতনের বিষয়ে বলেন, গত কয়েকদিন আগে বান্দরবানে চিংমা খিয়াংকে ধর্ষণের পর হত্যার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। এ যাবত বহু নারী ধর্ষণ-হত্যার শিকার হয়েছেন, কিন্তু এসব ঘটনার বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি। তাই আমাদেরকে নারী ধর্ষণ, নিপীড়ন, ভূমি বেদখলসহ অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে ছাত্র-যুব-নারী সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে।

পরে পুরোনো কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে সকলের সম্মতিক্রমে রনি ত্রিপুরাকে সভাপতি, নব বিকাশ ত্রিপুরাকে সাধারণ সম্পাদক ও সুচিন ত্রিপুরাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়। নতুন কমিটিকে শপথ বাক্য পাঠ করান গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য সুইচিং মারমা।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More