মহালছড়ি : নুনছড়ির দেবতা পুকুর এলাকায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দির নির্মাণকে কেন্দ্র করে আজ শনিবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার সময় মাইসছড়ি বাজারে ডিজিএফআইয়ের সদস্যদের দ্বারা নুনছড়ি দেবতা পুকুর পাড়ার কার্বারী কুঞ্জ মোহন ত্রিপুরাসহ কয়েকজন গ্রামবাসীকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডিজিএফআইয়ের সদস্যরা মন্দিরটি ভেঙে না ফেললে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছেন বলে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিরা অভিযোগ করেছেন।
নির্যাতনের শিকার হওয়া অন্যরা হলেন- ছাতি পাড়ার কার্বারী চিত্ত ত্রিপুরা, লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিনাচান ত্রিপুরা ও কমিটির সদস্য তিমই ত্রিপুরা।
জানা যায়, আজ অর্ধবেলা হাটবার হওয়ায় এলাকার লোকজন মালামাল বেচা-কেনার জন্য মাইসছড়ি বাজারে গিয়েছিলেন । তিমই ত্রিপুরা কলা বিক্রি করার সময় সাদা পোশাকে ডিজিএফআইয়ের কয়েকজন সদস্য সেখানে গিয়ে তার নাম তিমই ত্রিপুরা কিনা জিজ্ঞাসা করেন। তিনি হ্যাঁ সূচক উত্তর দিলে সাথে সাথে তারা (ডিজিএফআইয়ের সদস্যরা) তিমই ত্রিপুরাকে মাইসছড়ি বাজারের রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে নিয়ে যায়। সেখানে নেয়ার পর তিনি সেখানে কুঞ্জ মোহন ত্রিপুরা, চিত্ত ত্রিপুরা ও বিনাচান ত্রিপুরাকে দেখতে পান। পরে তিনি জানতে পারেন যে আগেই তাদেরকে সেখানে নিয়ে মারধর করা হয়েছে।
তিমই ত্রিপুরা এই প্রতিবেদককে জানান, ডিজিএফআইয়ের একজন কর্মকর্তা (হাবিলদার) তাকে গলা টিপে ধরে হুমকি দিয়ে বলে যে ‘পুকুর পাড়ায় নির্মিত মন্দিরটি ভেঙে ফেলতে হবে। না হলে হয় মেরে ফেলা হবে, নয়তো জেলের ভাত খাওয়ানো হবে’। এ সময় ডিজিএফআইয়ের ওই কর্মকর্তাসহ তার সহযোগীরা তাকে লাঠি দিয়ে পেটে আঘাত করে বলেও তিনি জানান।
———————
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।