সিএইচটিনিউজ.কম
ঢাকা: ঢাকা ভিত্তিক পাহাড়ি পেশাজীবিদের সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম সমিতির বর্তমান সভাপতি ও সম্পাদককে আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর পদত্যাগ পত্র লিখতে বাধ্য করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সিএইচটি টোয়েন্টিফোর ডটকমের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম সমিতি গত ২০১১ সালের মে মাসের ১ তারিখ গঠন করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় অবস্থানরত উৎসাহী পেশাজীবিগণ এই অরাজনৈতিক সংগঠন গঠন করে। সংগঠনটি সম্পূর্ণ স্বাধীনেভাবে পেশাজীবিদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে গঠন করা হলেও একটি বিশেষ অংশের ধারণা এই সংগঠনটি গঠনের পেছনে ইউপিডিএফ-এর হাত রয়েছে। মূলত: এই সন্দেহের ভিত্তিতে বেশ কয়েকমাস ধরে এই সমিতির উপর আঞ্চলিক পরিষদের কর্তৃপক্ষ থেকে চাপ আসতে থাকে।
জানা যায়, সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রাম সমিতির বর্তমান সভাপতি বস্ত্র অধিদপ্তরের প্রাক্তন পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার শৈলজ বিকাশ চাকমাকে বিভিন্ন ফোন নাম্বার থেকে ফোন করে এই সংগঠন থেকে পদত্যাগ করতে চাপ দেয়া হয়। এক পর্যায়ে হুমকিদাতা ব্যক্তিগণ শৈলজ বিকাশ চাকমার রাঙামাটি শহরে যে সকল স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে তা দখলে নেয়া হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। এবং শৈলজ বিকাশ চাকমা নামে বনরূপায় যে দোকান রয়েছে তা থেকে যে ভাড়া তিনি পেতেন সে টাকা উক্ত ব্যক্তিগণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয়। এই অবস্থায় শৈলজ বিকাশ চাকমা অসহায় হয়ে পড়েন। এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম সমিতি থেকে তিনি পদত্যাগ করেছেনে প্রমাণস্বরূপ আঞ্চলিক পরিষদ বরাবর পদত্যাগ পত্র পেশ করেন। একইভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শিবাশিষ চাকমাকেও হুমকি-ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়ে পদত্যাগপত্র লিখে আঞ্চলিক পরিষদ বরাবর পাঠাতে হয় বলে খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে আরো জানা গেছে, ঢাকায় পার্বত্য বৌদ্ধ সংঘ নামে একটি সংস্থা রয়েছে। উক্ত সংঘের অধীনে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও পরিচালনা করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানের নতুন কমিটি কয়েক দিনের মধ্যে গঠন করার কথা রয়েছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানের লাভজনক পদ প্রাপ্তির জন্য বর্তমানে ঢাকাস্থ পাহাড়ি পেশাজীবিদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। উক্ত লাভজনক পদে নির্বাচিত হবার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম সমিতির সদস্যগণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এই আশঙ্কায় পার্বত্য চট্টগ্রাম সমিতির নেতৃবৃন্দের উপর এহেন হস্তক্ষেপ হয়রানী করা হচ্ছে বলেও অনেকে মন্তব্যে করেছেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম সমিতির উপর আকস্মিক খড়গহস্ত ধারণ করায় সমিতির সাধারণ সদস্যগণ কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়েছেন।
বিশেষ প্রভাবশালী মহল থেকে একটি পেশাজীবি সংগঠনের উপর এইরূপ হস্তক্ষেপ ও খড়গহস্ত ধারণ করা নিয়ে পার্বত্যবাসী সচেতন অংশ অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
সূত্র: সিএইচটি২৪.কম