ঢাকায় দুই নাম্বারীদের হামলায় ২ পিসিপি সদস্য আহত
ঢাকা প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম
ঢাকায় সন্তু চক্রের মদদপুষ্ট দুই নাম্বারীদের হামলায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ২ সদস্য আহত হয়েছেন। আজ রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ছাত্র যুগল চাকমা ও ত্রিশংকু চাকমা ঢাকার মীরপুর ১২ নম্বরে অবস্থিত বনফুল (শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহার) থেকে সেখানে অধ্যয়নরত ছাত্রদের সাথে মিটিং শেষে মীরপুর ১০ নম্বরের দিকে ফিরছিলেন। তারা বনফুলের গেট থেকে বের হয়ে কয়েক কদম এগোতেই সুনেন্দু চাকমার নেতৃত্বে ৪ জন দুই নাম্বারী হঠাৎলাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এতে যুগল চাকমা মাথায় আঘাত পেয়ে মারাত্মক আহত হন। ত্রিশংকুর গায়েও লাঠির আঘাত লাগে, তবে তা গুরুতর নয়।
যুগল চাকমা ঢাকায় বাংলাদেশ-আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, তার বাড়ি খাগড়াছড়ির তেতুল তলায়। আর ত্রিশংকু চাকমা কিছু দিন আগে ঢাকার একটি বেসরকারী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাশ করে বের হয়েছেন। তার বাড়ি খাগড়াছড়ির খবংপুজ্যায়।
তারা দুজনেই পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ঢাকা শাখার সদস্য। আগামী ১ মার্চ ঢাকায় জাতিসত্তা মুক্তি সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে ‘দেশের আদিবাসী, সংখ্যালঘু জাতি ও ভাষাভাষীর সাংবিধানিক স্বীকৃতিসহ ১৮ দফা দাবিতে’ যে জাতীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে তা সফল করতে তারা কাজ করছেন। এর অংশ হিসেবে তারা বনফুলে গিয়েছিলেন।
ঘটনার নিন্দা জানিয়ে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুমেন চাকমা বলেন, দুই নাম্বারীদের পায়ের তলা থেকে দ্রুত মাটি সরে যাচ্ছে। এজন্য তারা ইদানিং বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কয়েকদিন আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও তারা আমাদের নেতাকর্মীদের গায়ে হাত তুলেছে। অর্থাৎ তারা পেশি শক্তি দিয়ে আমাদের অগ্রযাত্রাকে ঠেকাতে চাচ্ছে। কিন্তু সেটা সম্ভব হবে না। কারণ দিন বদলে গেছে। সাধারণ ছাত্ররা বুঝে গেছে যে দুই নাম্বারীরা শিক্ষিত মাস্তান ছাড়া কিছু নয় আর তাদের গডফাদার সন্তু লারমা সরকারের দালাল। তারা যা করছে তা জুম্মদের জাতীয় স্বার্থের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
সুমেন চাকমা সন্ত্রাসী দুই নাম্বারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য জুম্ম ছাত্রছাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানান। ‘দুই নাম্বারীরা আলোচনার ভাষা বোঝে না, ঐক্য-সমঝোতা মানে না, নিজের ভাই চেনে না, ভালো মানুষের সদুপদেশ শুনে না। তাই তাদের উচিত শিক্ষা দেয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।’
তিনি আরো বলেন, দুই নাম্বারীরা হলো নব্য মুখোশ। ১৯৯৫ সালের শেষের দিকে তৎকালীন বিএনপি সরকার পাহাড়ি ছাত্র পরিষদসহ তিন গণতান্ত্রিক সংগঠনকে দমনের জন্য সন্তু লারমার সাথে আঁতাত করে মুখোশ বাহিনী গঠন করেছিল। কিন্তু পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ দৃঢ়তার সাথে তাদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুললে তারা তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায়। নীতি আদর্শহনী দুই নাম্বারীদের জন্যও সেই একই পরিণতি অপেক্ষা করছে।
——————–