খাগড়াছড়িতে পিসিপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলা ও ক্যান্টনমেন্টে নির্যাতনের প্রতিবাদে
ঢাকায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভ
ঢাকা: খাগড়াছড়িতে পিসিপি’র ৫ নেতা-কর্মীর ওপর সেটলারদের হামলা ও ক্যান্টনমেন্টে নির্যাতনের প্রতিবাদে আজ শুক্রবার বিকাল ৪টায় ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)।
প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সিমন চাকমা ও ইউপিডিএফ সংগঠক মাইকেল চাকমা। সমাবেশ পরিচালনা করেন পিসিপির সাধারণ সম্পাদক বিপুল চাকমা।
সমাবেশে বক্তারা সেনা মদদপুষ্ট একটি চিহ্নিত উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী কর্তৃক পিসিপির ৫ নেতা-কর্মীর ওপর হামলা ও সেনা হেফাজতে বর্বর নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বক্তরা অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি মিথ্যা মামলায় আটক ইউপিডিএফ নেতা মিঠুন চাকমার মুক্তির দাবিতে পোস্টারিং করার সময় গত ২০ জুলাই রাত ১০টার সময় খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে পিসিপি নেতা কর্মীদের ওপর তথাকথিত বাঙালি ছাত্র পরিষদ নামধারী সেনা মদদপুষ্ট উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা হামলা চালায় এবং পিসিপি নেতা জেসীম চাকমাসহ ৫ জনকে গুরুতর জখম করে। সন্ত্রাসীরা পরে সেনাদের নিকট পিসিপি নেতাকর্মীদের তুলে দেয়। ক্যান্টনমেন্টে সেনা হেফাজতেও তাদের ওপর চলে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধর। পরের দিন ২১ জুলাই আহত পিসিপি নেতাকর্মীদের সেনারা থানায় হস্তান্তর করলে বিকালের দিকে থানা থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বক্তারা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে দিন দিন দমন পীড়ন চরমে উঠেছে। সেনাবাহিনী রাতে বিরাতে তল্লাশীর নামে জনগণকে হয়রানি করে চলেছে। সেনাবাহিনীর ধরপাকড় শারিরীক নির্যাতন, হয়রানি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
পাহাড়ে সম্প্রদায়িক হামলার পেছনে উগ্রসাম্প্রদায়িক সেনা কর্মকর্তাদের দায়ী করে নেতৃবৃন্দ বলেন, সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও মদদ যুগিয়ে এসব নব্য পাক হানাদাররা সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটায়। প্রত্যেক সাম্প্রদায়িক হামলার পিছনে তারা প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ১১ নির্দেশনা সমালোচনা করে নেতৃবৃন্দ বলেন, এই নির্দেশনা পাহাড়ে দমন পীড়নের সনদ। এই নির্দেশনার মাধ্যমে সেনা সেটলাররা আরো বেশি বলিয়ান হয়েছে। মূলত এই নির্দেশনার মাধ্যমে কায়েমী স্বার্থবাদী সেনা-প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অপকর্মকে বৈধতা দেয়ার অপচেষ্টা চলছে।
সমাবেশ থেকে বক্তারা পিসিপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও নির্যাতনকারী সেনা-সেটলারদের শাস্তি এবং অবিলম্বে ধরপাকড়, দমন-পীড়ন ও সাম্প্রদায়িক উস্কানি বন্ধের দাবি জানান।
সমাবেশ শেষে প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
—————–
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।