দীঘিনালায় তিন সংগঠনের সমাবেশ, পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান

0

দীঘিনালা প্রতিনিধি।। পূর্ণস্বায়ত্তশাসন দাবি উত্থাপন দিবস উপলক্ষে আজ ১০ মার্চ ২০২২, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), হিল উইমেন্স ফেডারেশন(এইচডব্লউএফ) ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

“অস্তিত্ব রক্ষার্থে পূর্ণস্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যুক্ত হোন, পাহাড়ের দিকে দিকে পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের প্রতিধ্বনি প্রতিবাদী ছাত্র-যুব জনতা এক হও, লড়াই করো” এই আহ্বানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের দীঘিনালা উপজেলা সভাপতি অনন্ত চাকমার সঞ্চালনায় ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের উপজেলা সভাপতি জ্ঞান প্রসাদ চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফ’র দীঘিনালা ইউনিটের সমন্বয়ক প্রাণেশ চাকমা, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য নিকেল চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের দীঘিনালা উপজেলা সহ-সভাপতি মিনা চাকমা।

সমাবেশে বক্তরা বলেন, ১০ মার্চ দিনটি পার্বত্য চট্টগ্রামে নিপীড়িত জনগণের জন্য একটি উজ্জ্বীবিত হওয়াার দিন। ১৯৯৭ সালের আজকের এই দিনে পাহাড়ি চাত্র পরিষদ, পাহাড়ি গণ পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন পার্তব্য চট্টগ্রামের নিপীড়িত জনের মুক্তির লক্ষ্যে পূর্ণস্বায়শাসনের দাবি উত্থাপন করে। পার্বত্য চুক্তির প্রায় দশ মাস আগে এই দাবি উত্থাপন ছিল একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। পরবর্তীতে একই বছর ২ ডিসেম্বর জনগণের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে সরকার ও জনসংহতি সমিতির মধ্য চুক্তি স্বাক্ষর ও ৯৮ সালে জনসংহতি ও শান্তিবাহিনী সদস্যরা অস্ত্রসমর্পণ করলে জনগণ ও নতুন প্রজন্ম পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের দাবিকে প্রাণের দাবি হিসেবে গ্রহণ করে। জুম্ম জনগণ খুঁজে পায় নতুন দিশা।

বক্তারা বলেন, ইউপিডিএফ এই পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের দাবিকে সামনে লড়াই সংগ্রাম করে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের নিপীড়িত পাহাড়ি জনগণের রাজনৈতিক মুক্তির সনদ হচ্ছে এই পূর্ণস্বায়ত্তশাসন। তাই পূর্ণস্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলনে সামিল হতে হবে।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্ম জনগণের প্রাণের দাবি পূর্ণস্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে শাসকশ্রেণী তার সৃষ্ট দালাল, লেজুড়সহ দৃর্বৃত্তদের মদদ দিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলনে যুক্ত থাকা অসংখ্য নেতা-কর্মী-সমর্থকদের বিনা কারণে খুন, গ্রেফতার, নির্যাতন, গুমসহ নানা হয়রানি জারি রেখেছে।

তারা বলেন, শাসকশ্রেণীকে মনে রাখতে হবে, দমন-পীড়ন চালিয়ে কোন ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন স্তব্ধ করে দেয়া যায় না। শত বাধা-বিঘ্ন ও দমন-পীড়নে সত্ত্বেও মুক্তিকামী জনগণ ও নতুন প্রজন্ম পূর্ণস্বায়ত্তশাসন আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে যেতে বদ্ধ পরিকর।

সমাবেশ থেকে বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী সমাধানের জন্য পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।


সিএইচটি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More