দীঘিনালায় ধর্ষণ ও খুন হওয়া কৃত্তিকা ত্রিপুরার মাকে অপহরণের মিথ্যা অভিযোগ

0
15

খাগড়াছড়ি॥ দীঘিনালায় ধর্ষণের পর খুন হওয়া কৃত্তিকা ত্রিপুরার মা অনুমতি ত্রিপুরাকে অপহরণের মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে সংস্কারবাদীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে দীঘিনালা থানায় এ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়।

তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, গতকাল সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ইউপিডিএফের নেতারা অনুমতি ত্রিপুরার খোঁজ খবর নিতে খাগড়াছড়িতে ডেকে তার সাথে দেখা করেন। এ সময় অনুমতি ত্রিপুরার দুই ভাই রুতি ত্রিপুরা (৪৫) ও বেবুতি ত্রিপুরা (৩৫) এবং ব্রজেন্দ্র বৈঞ্চব নামে তাদের এক আত্মীয় উপস্থিত ছিলেন।

ইউপিডিএফের পক্ষ থেকে মুরুব্বীদের উপস্থিতিতে কিছু আর্থিক সাহায্যও দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু মুরুব্বীরা উপস্থিত হতে না পারায় গতকাল তা দেয়া হয়নি। পরে মুরুব্বীদের উপস্থিতিতে আজ অথবা কাল দেয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে ইউপিডিএফ নেতাদের সাথে দেখা করার পর অনুমতি ত্রিপুরাকে এক আত্মীয়ের বাসায় রেখে রুতি ত্রিপুরা, বেবুতি ত্রিপুরা ও ব্রজেন্দ্র বৈঞ্চব দীঘিনালায় ফিরে যান।

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গতকাল বিকেলের দিকে গাড়ি থেকে দীঘিনালার নয় মাইল দোকানে নামার পর পরই সংস্কারবাদীরা রুতি ত্রিপুরা ও বেবুতি ত্রিপুরার কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নেয় এবং ইউপিডিএফ নেতাদের সাথে দেখা করার জন্য রুঢ় ভাষায় গালিগালাজ করে।

“তোমাদের বোন (অনুমতি ত্রিপুরা) নয় মাইলে আসলে অসুবিধা হবে, নয় মাইলে তাকে আসতে দেয়া হবে না” ইত্যাদি বলেও সন্ত্রাসীরা তাদেরকে হুমুক দেয়।

পরে রাজনৈতিক ঈর্ষা ও প্রতিহিংসাবশত: সংস্কারবাদীরা দীঘিনালা থানায় ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে অনুমতি ত্রিপুরাকে অপহরণের মিথ্যা অভিযোগ দেয়।

সর্বশেষ জানা গেছে, সংস্কারবাদীরা সাজেক মৌজার হেডম্যান বরেন্দ্র ত্রিপুরাকে খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ নেতাদের সাথে দেখা না করতে কড়া ভাষায় হুমকি দিয়েছে। তিনি সাজেক ইউনিয়নের হেডম্যান হলেও দীঘিনালার নয় মাইলে থাকেন।

খাগড়াছড়িতে আজ অথবা আগামীকাল ইউপিডিএফ নেতাদের সাথে তার ও এলাকার অন্যান্য মুরুব্বীদের দেখা করার কথা ছিল। এ খবর জানার পর সংস্কারবাদীরা তাকে খাগড়াছড়ি না যাওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছে।

তবে জুম্ম রাজাকার সংস্কারবাদীদের এ হুমকিতে মুরুব্বীদের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। বরেন্দ্র হেডম্যানের একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে এভাবে হেনস্থা ও অপমান করাকে তারা কোন মতেই মেনে নিতে পারছেন না।
———————-
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

Print Friendly, PDF & Email

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.