প্রথম আলো রিপোর্ট

দুই পাহাড়ি নেত্রীকে অপহরণ : আশাই বাঁচিয়ে রেখেছে কালিন্দী রানীকে

0
109

সিএইচটি নিউজ ডেস্ক : স্বজনদের কোন শান্তনা আর বিশ্বাস করেন না কালিন্দী রানী চাকমা। দুই সপ্তাহ ধরে খাওয়া দাওয়া প্রায়ই ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। অসুস্থ হয়ে পড়া এই নারীর দিনের বেশীরভাগ সময় কাটে কেঁদে। মেয়ে ফিরে আসবে, এই আশায় তাঁকে বাচিয়ে রেখেছে। গত ১৮ মার্চ থেকে তার মেয়ে দয়াসোনা চাকমার খোঁজ নেই। সেদিন সকালে রাঙামাটি সদর উপজেলার কুদুকছড়ি ইউনিয়নের একটি বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে দয়াসোনা চাকমাসহ আরো এক পাহাড়ি তরুণীকে তুলে নিয়ে যায় দুবৃত্তরা। যে বাড়িতে তাঁরা অবস্থান করছিলেন, সেটিও পুড়িয়ে দেয়া হয়।

হিল উইমেন্স ফেডারেশনের রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দয়াসোনা। তাঁর সঙ্গে অপহৃত মন্টি চাকমা সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক। পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফের (ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) সহযোগি সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশন।

দয়াসোনা চাকমার বাড়ি কাউখালি উপজেলা ঘাগড়া ইউনিয়নের হাজাছড়ি গ্রামে। উপজেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে একটি গ্রামের কূঁড়েঘরে থাকে দরিদ্র এই পরিবার। কাউখালী কলেজের ছাত্রী দয়াসোনার আজ থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় দয়াসোনার অংশ নেয়ার কথা। গত বছর তিনটি বিষয়ে খারপ করেছিলেন তিনি। ওই তিনটি বিষয়ে এবার পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তিনি। অথচ তিনি বেঁচে আছেন কি না, তা নিয়েই সংশয়ে রয়েছে পরিবার।

রাঙামাটির পুলিশ সুপার মো: আলমগীর কবির বলেন, অপহরণকারীদের ধরতে এবং দুই তরুণীকে উদ্ধারে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। মালার আসামীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।

তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চাইলে এত দিনে দুই নেত্রীকে উদ্ধার করতে পারত বলে মন্তব্য করেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নিরূপা চাকমা। দ্রুত দুই নেত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.