নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা, সিএইচটিনিউজ.কম
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু জাতিসমূহের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী জাতীয় কনভেনশন আজ ৬ জুন শেষ হয়েছে। এই কনভেনশন থেকে ‘জাতিসত্তা মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ’ নামে একটি সংগঠন গঠন করা হয়।
কনভেনশনের সমাপনী অধিবেশনে বক্তারাসাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে উল্লেখ করে বলেন, সংবিধানে বাঙালি ছাড়া অন্যান্য জাতিসত্তার অধিকারের বিষয়টি চরমভাবেউপেক্ষিত। মুক্তিযুদ্ধসহ অন্যান্য স্বাধিকার আন্দোলনে সংখ্যালঘুজাতিগোষ্ঠীগুলো সরাসরি অংশ নিয়েও তাদের প্রকৃত স্বাধীনতা পাচ্ছে না। তাইসাম্রাজ্যবাদী শক্তির হাত থেকে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সংখ্যালঘুদেরলড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
বদরুদ্দীন উমর তার বক্তৃতায় বলেন, সংখ্যালঘুজাতিগোষ্ঠীর প্রকৃত মুক্তির জন্য রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে।ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলনসহ মুক্তিযুদ্ধে সংখ্যালঘুজাতিগোষ্ঠী পরাধীনতার গণ্ডি পেরিয়ে সত্রিক্রয়ভাবে অংশ নিলেও এখনো তাদেরমুক্তি মেলেনি। তিনি সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হাত থেকে মুক্ত না হওয়া পর্যন্তসংখ্যালঘুদের লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন তেল-গ্যাস, বিদ্যুত, বন্দর ও জাতীয় সম্পদ রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলীমুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)সভাপতি প্রসীত বিকাশ খীসা, ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী জাতীয় কমিটির সাধারণসম্পাদক ড. আকমল হোসেনপ্রমুখ।
ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ৫ ও ৬ জুন দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই কনভেনশনে প্রথম দিন সারা দেশে থেকে আগত সংখ্যালঘু জাতিসত্তা ও ভাষাভাষীর প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। এরপর দ্বিতীয় দিনের অধিবেশনে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু জাতিসমূহের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ‘জাতিসত্তা মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ’ গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
সংগঠনটির সভাপতি মন্ডলীতে রয়েছেন কামেল মার্ডি, মোস্তাক আহমদ, আলবার্ট সরেন, জিডিশন প্রধান সুচিয়াং, আনন্দ মোহন সিনহা, প্রসিত বিকাশ খীসা, আকমল হোসেন, ফয়জুল হাকিম ও হাসিবুর রহমান। অন্যরা হলেন- সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল স্মৃতি চাকমা, যুগ্ম সম্পাদক খালিদ হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক পরিমল সিং বাড়াইক, টুডু শমূয়েল, মোহাম্মদ সাদাকাত খাঁন, ছোটন তঞ্চঙ্গ্যা ও মো: আফজাল হোসেন এবং দফতর সম্পাদক ভীমপল সিনহা।
কনভেনশন শেষে এক র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি টিএসসি থেকে শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব ঘুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়াম মাঠে এসে শেষ হয়।