নাগরিক কমিটির ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধের আহ্বানকে স্বাগত জানিয়েছে ইউপিডিএফ
সিএইচটি নিউজ বাংলা, ২৯ এপ্রিল ২০১৩, সোমবার
ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সভাপতি প্রসিত খীসা আজ ২৯ এপ্রিল ২০১৩ সোমবার এক বিবৃতিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধের আহ্বানকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘ইউপিডিএফ শুরু থেকেই শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পন্থায় সকল প্রকার মতবিরোধ মীমাংসার জন্য জেএসএস (সন্তু গ্রুপ)-এর কাছে আহ্বান জানিয়ে আসছে।’
ইউপিডিএফ নেতা আরো বলেন, ‘জনমতের চাপে অথবা রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে কোনঠাসা হওয়ার পর অতীতে বেশ কয়েকবার ইউপিডিএফের সাথে বৈঠকে বসতে ও সমঝোতায় উপনীত হতে বাধ্য হলেও জেএসএস (সন্তু গ্রুপ) সেই সব সমঝোতার শর্ত লঙ্ঘন করে। যেমন ২০০৬ সালের প্রথম দিকে জেএসএস-এর ভাঙনের প্রেক্ষাপটে সন্তু লারমার বিশেষ পীড়াপীড়িতে ও তার সকল শর্ত মেনে নিয়ে দুই পার্টির মধ্যে সংঘাত বন্ধে যে সমঝোতা হয়, তার কয়েক দিনের মধ্যেই সন্তু লারমার পার্টি তা লঙ্ঘন করে বসে। কাজেই এটা আজ দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত মুলতঃ এক পক্ষের অর্থাৎ জেএসএস সন্তু গ্রুপের চাপিয়ে দেয়া ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
১৯৯৮ সালের ৪ঠা এপ্রিল খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ইউপিডিএফ-ভুক্ত সংগঠনের নেতা প্রদীপ লাল ও কুসুম প্রিয়কে নৃশংসভাবে হত্যার মাধ্যমে শুরু হওয়া ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে আজ পর্যন্ত ইউপিডিএফের ২৩৩ জন নেতাকর্মী ও সমর্থক প্রাণ হারিয়েছেন উলেস্নখ করে প্রসিত খীসা বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন দমন তথা পাহাড়ি জনগণের জাতীয় অস্তিত্ব ধ্বংস করার জন্য শাসকগোষ্ঠী জেএসএস-এর ভেতরের একটি বিশেষ চক্রকে ব্যবহার করে এই সংঘাত জারী রেখেছে।’
ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতের জন্য কারা দায়ী ও কারা ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের চিহ্নিত করে সেই ভিত্তিতে কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে ইউপিডিএফ নেতা নাগরিক কমিটিকে পরামর্শ দেন এবং বলেন, ‘আসল সমস্যাকে চিহ্নিত করতে না পারলে তার সমাধান আশা করা যায় না। যে দল বা নেতা সংঘাত বন্ধ করতে চায় না সে দল বা নেতার উপর সকল ধরনের চাপ অব্যাহত রাখতে হবে। তা না হলে কখনোই সংঘাত বন্ধ হবে না।’
ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধের লক্ষ্যে ইউপিডিএফ আন্তরিকভাবে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা কখনোই এই সংঘাত চাইনি এবং এখনো চাই না, কারণ এই ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে ইউপিডিএফসহ সাধারণ জনগণের ক্ষতি ছাড়া কোন লাভ বা স্বার্থ নেই।’
————