নানিয়াচরে জনপ্রতিনিধিদের অপহরণের চেষ্টা নব্য মুখোশদের

0

নানিয়াচর॥ সেনাবাহিনীর লেলিয়ে দেয়া নব্য মুখোশ বাহিনীর সন্ত্রাসীরা নানিয়াচর বাজার ঘাট থেকে চার ইউপি চেয়ারম্যান ও ৭ জন ইউপি মেম্বারকে অপহরণের চেষ্টা চালিয়েছে। আজ বুধবার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ নব্য মুখোশদের ২ জনকে আটক করেছে।

অপহরণ প্রচেষ্টার শিকার এক চেয়ারম্যান নিরাপত্তাজনিত কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিএইচটি নিউজ ডটকমকে বলেন, ‘আজ ইউএনও অফিসে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মিটিং ছিল। আমরা ঐ মিটিঙে যোগদান শেষে ফিরে যাওয়ার সময় নব্য মুখোশরা বাজার ঘাট থেকে আমাদের জোর করে অপহরণের চেষ্টা করে।’

পরে তারা থানায় যোগাযোগ করলে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে। পুলিশ নব্য মুখোশ বাহিনীর দুই জনকে আটক করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে কী না তা এখনো জানা যায়নি।

ঝিমিত ও নির্ভিকের নেতৃত্বে ১০-১২ জন নব্য মুখোশ এ অপহরণের চেষ্টা চালায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। তবে অপহরণের নির্দেশ সরাসরি বর্মা দিয়েছে বলে একাধিক সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

অপহরণ প্রচেষ্টার শিকার একজন ইউপি মেম্বার জানান, বর্মা আইন শৃঙ্খলা মিটিঙে উপস্থিত অপর এক মেম্বারকে মোবাইলে ফোন করে হুমকি দিয়ে বলে ‘তোদের মিটিঙে থাকতে হবে না, এখনি চলে যাও। না হলে মাথার “গুত্যা উরে দিম” (মগজ উড়িয়ে দেবো)।

অপহরণ চেষ্টার শিকার চেয়ারম্যানরা হলেন সুপন চাকমা (সুশীল জীবন), জ্যোতি লাল চাকমা, প্রমোদ খীসা ও অমল কান্তি চাকমা।

মেম্বারা হলেন পূর্ণ কুমার চাকমা (৩ নং ওয়ার্ড ২ নং নানিয়াচর ইউপি), বাবুল চাকমা (৪ নং ওয়ার্ড ২ নং নানিয়াচর ইউপি), তপন চাকমা (৬ নং ওয়ার্ড ২ নং নানিয়াচর ইউপি), জীবন চাকমা (৩ নং ওয়ার্ড ১ নং সাবেক্ষ্যং ইউপি), রিপেন চাকমা (২ নং ওয়ার্ড ১ নং সাবেক্ষ্যং ইউপি), তপময় চাকমা (৭ নং ওয়ার্ড ১ নং সাবেক্ষ্যং ইউপি) এবং চম্পা চাকমা (৭, ৮, ৯ ইউপি মহিলা সদস্য)।

উক্ত ঘটনায় নব্য মুখোশ বাহিনী প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান জ্যোতি লাল চাকমা ও সদস্য সচিব পরানধন চাকমা এক বিবৃতিতে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তারা অবিলম্বে নব্য মুখোশ বাহিনীর প্রধান ও খুনসহ বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মা ও তার দলের অন্যান্য সদস্যদেরও গ্রেফতার করার দাবি জানান।

‘একটি বিশেষ মহল থেকে এদের (নব্য মুখোশদের) পৃৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করতে হবে এবং তাদেরকে গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে। না হলে এলাকায় শান্তি আসবে না।’ বলে তারা মন্তব্য করেন।
————–
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More