নান্যাচর গণহত্যার ৩১তম বার্ষিকীতে শহীদদের স্মরণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন

নান্যাচর প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
নান্যাচর গণহত্যার ৩১তম বার্ষিকীতে শহীদদের স্মরণে নান্যাচর উপজেলায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচি পালন করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন, নান্যাচর উপজেলা শাখা।
আজ রবিবার (১৭ নভেম্বর ২০২৪) বিকাল ৫.৩০টায় অনুষ্ঠিত প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার অর্থ সম্পাদক ঝিমিত চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নান্যাচর উপজেলা শাখার সভাপতি প্রিয়তন চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নান্যাচর উপজেলা শাখার সভাপতি সুমেত চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নান্যাচর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মেকি চাকমা।
অনুষ্ঠান শুরুতে ১৭ নভেম্বর ’৯৩ সালে সংঘটিত গণহত্যার শহীদসহ অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এ যাবত যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এরপর ১৭ নভেম্বর ’৯৩ গণহত্যায় শহীদদের স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতি সৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নান্যাচর উপজেলা শাখার সভাপতি প্রিয়তন চাকমা।
তিনি বলেন, নান্যাচর গণহত্যাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে এযাবত ডজনের অধিক গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। অথচ সংঘটিত এইসব গণহত্যার কোন সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হয়নি। যার কারণে পাহাড়ে একের এখনো সাম্প্রদায়িক হামলা, হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে। তিনি অবিলম্বে নান্যাচর গণহত্যাসহ সকল গণহত্যার শ্বেতপত্র প্রকাশ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান।
পরে শহীদদের স্মরণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়।


উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালের ১৭ নভেম্বর রাঙামাটির নান্যাচর উপজেলার নান্যাচর বাজারে সেনাবাহিনী ও সেটলার বাঙালিরা নিরীহ জুম্ম জনসাধারণের উপর নির্বিচার হামলা চালিয়ে ৩০ জনের অধিক জুম্মকে নির্মমভাবে হত্যা ও বহু লোককে আহত করে এবং বেশকিছু ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।