নির্বাচনে ৬ সপ্তাহ পার্বত্য অঞ্চল পর্যবেক্ষণে রাখতে চায় ইইউ
অনলাইন ডেস্ক, সিএইচটি নিউজ
সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬ সপ্তাহ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে অবস্থান করে পর্যবেক্ষণ করতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ মূল্যায়ন করতে আসা ৬ সদস্যের নির্বাচনী অনুসন্ধানী দল।
আজ সোমবার (১০ জুলাই ২০২৩) সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, তারা আমাদের কাছে সহায়তা চাচ্ছে। আমরা বলেছি সব ধরনের সহায়তা দেবো। তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় যাওয়ার বিষয়ে বলেছে এই বিষয়টি দেখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আমরাও দেখি। আমাদের দিক থেকে সব সাপোর্ট দেওয়ার বিষয়ে বলেছি। আমাদের এই মিনিস্ট্রি প্রশাসনিক এবং ডেভলপমেন্ট মিনিস্ট্রি। নির্বাচনের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নাই। সুতরাং তাদের থাকা, পরিদর্শন করা বা চলাচল করার ক্ষেত্রে সব ধরনের সহায়তা আমরা দেবো। আরেকজন জানতে চাচ্ছিলেন, ২০০৮ সালে তারা যখন এসেছিলেন তখন ব্যাপক সহযোগিতা পেয়েছিলেন এবারও পাবেন কিনা? আমরা বলেছি ২০০৮ সালের চেয়েও ভালো এনজয় করবেন। কারণ ২০০৮ সালে যোগাযোগ ব্যবস্থা ততোটা মসৃণ ছিল না। ওখানে গেলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলার বিষয়ে জানতে চেয়েছেন, আমরা বলেছি এটা যেহেতু নির্বাচনকেন্দ্রিক এটি নির্বাচন কমিশন দেখবে। এটার সঙ্গে আমরা সম্পৃক্ত না।
আমিনুল ইসলাম বলেন, তারা নির্বাচনের আগে ৬ সপ্তাহ পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা অবজারভে রাখতে চায়। তারা নির্বাচনের সময়ে আসবে। আমরা বলেছি সেটি নির্বাচন কমিশন দেখবে। আর আমাদের দিক থেকে অনুরোধ করেছি এটা যেহেতু বিশেষ তিনটি জেলা সেখানে কিছু নিরাপত্তার ইস্যু আছে। যদিও এখন আগের চেয়ে অনেক অনেক ভালো। আমরা তাদের ব্র্রিফ করেছি যে তিনটি জেলায় ২৬টি উপজেলা, ১২২টি ইউনিয়ন এবং প্রশাসনিক বিষয়ে। তারা খুবই সন্তুষ্ট, আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সুভিনিয়র দিয়েছি।
তিনি জানান, সরকারের আমন্ত্রণে তারা এসেছে, নির্বাচন বিষয়ে অভজারভার হিসাবে এসেছে এটিই তাদের উদ্দেশ্যে। আমরা বলেছি এটা যেহেতু তাদের নির্বাচনকেন্দ্রিক ভিজিট এটি তারা নির্ধারণ করে দেবে। এটি আমাদের পার্ট না। তারা কবে ভিজিট করবে সেটি জানাননি। আমরা বলেছি তারা আমাদের মেহমান সব ধরনের প্রশাসনিক হেল্প আমরা করবো। সেখানে তারা কী করবে না করবে সেটি দেখবে নির্বাচন কমিশন। আমরা তাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছি, এখানে স্থানীয় প্রশাসন আছে। স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে, সেনাবাহিনী আছে, সুতরাং তারা যাতে নিরাপত্তার ইস্যুটি মাথায় রাখে সেটি বলেছি।
সূত্র: জাগোনিউজ টোয়েন্টিফের.কম
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।
সিএইচটি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন