নিজস্ব প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩
আজ ১৮ এপ্রিল ২০২৩ পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সদস্য নীতিশ চাকমা (টিটু)-এর ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৩ সালের আজকের দিনে খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে ভিডিপি সদস্যদের গুলিতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জানা যায়, সেদিন (১৮ এপ্রিল ’৯৩) মহালছড়ি বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্র প্রশাসনের দুর্নীতির প্রতিবাদে ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে এলাকাবাসীর সাথে আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন নীতিশ চাকমা। জনতার বিক্ষোভ চলাকালে বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে এক পর্যায়ে ভিডিপি’র সদস্যরা আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালায়। এতে নীতিশ চাকমা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
দীর্ঘ ৩০ বছরেও সরকার নীতিশ চাকমা হত্যার বিচার করেনি।
নীতিশ চাকমা (টিটো) ১৯৭৬ সালের ১০ মে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি শহরের দুরপুর্য্যানাল গ্রামে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম সুবাস বসু চাকমা ও মাতার নাম তৃপ্তি রাণী চাকমা। তিন ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবাইয়ের জ্যেষ্ঠ ছিলেন।
তিনি কেরেঙ্গানাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়া শেষ করে ১৯৮৬ সালে মহালছড়ি শহরের মাধ্যমিক বিদ্যাপিঠে ভর্তি হন। ১৯৯১ সালে মহালছড়ি কেন্দ্র হতে বিজ্ঞান বিভাগে প্রথম বিভাগে এসএসসি পাশ করেন এবং সে বৎসর পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে “সেন্টার ফাস্ট” হয়ে কুমিল্লা বোর্ডের বৃত্তি পান।
একই বৎসর উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি চট্টগ্রাম রাঙ্গুনীয়া কলেজে ভর্তি হন। কলেজে পড়ার সময় অধিকার হারা জুম্মদের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাথে যুক্ত হন এবং সংগঠনের রাঙ্গুনিয়া কলেজ শাখার সক্রিয় কর্মি ছিলেন।
নীতিশ চাকমা যে কারণে সেদিন জনতার সাথে আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন পাহাড়ে এখনো তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। এখনো পাহাড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বন্ধ হয়নি বিদ্যুৎ বিভাগের দুর্নীতি-অনিয়ম।
সরকারের উচিত নীতিশ চাকমার হত্যাকারী ভিডিপি সদস্যদের আইনের আওতায় এনে বিচার ও শাস্তি প্রদান করা এবং পাহাড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ সকল জায়গায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করা।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।
সিএইচটি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন
