পানছড়ি ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত প্রতিরোধ কমিটির প্রচারপত্র: জেএসএস সন্তু গ্রুপের জাতীয় স্বার্থ বিরোধী ভ্রাতৃঘাতী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান
পানছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সন্তু গ্রুপের জাতীয় স্বার্থ বিরোধী ভ্রাতৃঘাতী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পানছড়ি ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত প্রতিরোধ কমিটি।
গত ১১ নভেম্বর ২০২৪ প্রকাশিত এক প্রচারপত্রের মাধ্যমে কমিটি এই আহ্বান জানায়।
উক্ত প্রচারপত্রে জনগণের করণীয় সম্পর্কে বলা হয়, এটা আজ দিবালোকের মতো পরিষ্কার, জনসংহতি সমিতির সন্তু গ্রুপ জনগণের আন্দোলন দমনের হাতিয়ার হিসেবে, জাতীয় অস্তিত্ব ধ্বংসের গুটি হিসেবে শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক ব্যবহৃত হচ্ছে। এই অবস্থায় আপামর জনগণ ও ছাত্র সমাজের একটিই করণীয়। সেটা হলো চরম প্রতিক্রিয়াশীল, শাসকগোষ্ঠীর দালাল ও ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতের জনক সন্তু চক্রকে পরাজিত করে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।
এতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়-
১) যারা ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতের বিরুদ্ধে ও ঐক্যের পক্ষে তাদের হাতকে শক্তিশালী করুন। ঐক্যপন্থীদের প্লাটফরমকে বিস্তৃত ও সংহত করুন।
২) সংঘাতের বিরুদ্ধে ও ঐক্যের পক্ষে সোচ্চার হোন।
৩) নতুন করে সংঘাত সৃষ্টির জন্য সন্তু চক্রকে নিন্দা করুন, ধিক্কার দিন।
৪) ঐক্য বিরোধী সন্তু চক্রকে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকসহ সকল উপায়ে মোকাবিলা করুন।
৫) সন্তু গ্রুপের হুমকিতে কখনই ভীত হবেন না। (সন্তু গ্রুপ যা করছে তা অত্যন্ত অন্যায় ও গণবিরোধী। এজন্য তারাই জনগণকে ভয় পায়। হুমকি দেয়ার কারণ হলো তাদের এই ভয়।)
আমাদের হাতে আসা প্রচারপত্রটির পুরো কম্পোজ ও স্ক্যান কপি নীচে দেওয়া হলো”
————————
জনসংহতি সমিতির সন্তু গ্রুপের জাতীয় স্বার্থ বিরোধী ভ্রাতৃঘাতী
অপতৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান
সংগ্রামী সুধী,
আপনারা পানছড়ি ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে সংগ্রামী অভিবাদন গ্রহণ করুন। আপনারা নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে অবগত হয়েছেন যে, জনসংহতি সমিতির সন্তু গ্রুপ পার্বত্য চট্টগ্রামের ছাত্র সমাজ তথা আপামর জনগণের ঐক্যের দাবি ও আকাঙ্ক্ষাকে পদদলিত করে শাসকগোষ্ঠীর অঙ্গুলী হেলনে আবার নতুন করে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত শুরু করেছে। গত ১১ অক্টোবর পানছড়িতে আমাদের সংগঠনের ডাকা ঐক্যের রোড মার্চ কর্মসূচিতে তারা সেনা-মদদপুষ্ট নব্য মুখোশ ঠ্যাঙাড়েদের সাথে মিলে সশস্ত্রভাবে বাধা দিয়েছে। তারা লোকজনকে এতে অংশ না নিতে ফোনে হুমকি দেয় এবং ভয়ভীতি সৃষ্টির জন্য সশস্ত্র হামলা চালায়। অন্যদিকে ঠ্যাঙাড়েরা পানছড়ি জোনে সকালের নাস্তা সেরে কানুনগো পাড়া দোকানে সশস্ত্রভাবে অবস্থান নেয়। সন্তু গ্রুপের জনৈক কমান্ডার রোড মার্চের আগে স্পষ্টভাবে লোকজনকে জানিয়ে দেয় যে, তারা সেনা-মদদপুষ্ট ঠ্যাঙড়েদের সাথে মিলে রোড মার্চ কর্মসূচিতে বাধা দেবে। কিন্তু আশার কথা হলো তাদের মিলিত বাধা সত্বেও জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঐক্যের রোড মার্চ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে।
সন্তু গ্রুপ কেন ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত চায়?
সন্তু গ্রুপের নতুন করে শুরু করা চলমান ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে আজ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছে এবং নিহতরা একজন বাদে সবাই তাদের দলের কর্মী বলে জানা গেছে। কিন্তু কেন সন্তু গ্রুপ সংঘাত চায়, কেন নিজের ভাইয়ের বুক ঝাঁঝরা করে দিতে চায়? কেন তারা ঐক্য চায় না, আন্দোলন চায় না? আজ এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা জরুরী হয়ে পড়েছে।
আপনারা জানেন, জনসংহতি সমিতি ১৯৯৭ সালে আন্দোলন ত্যাগ করে তথাকথিত শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে শাসকগোষ্ঠীর কোলে আশ্রয় নিয়েছে। এর বিনিময়ে শাসকগোষ্ঠী সমিতির কয়েকজন নেতাকে আঞ্চলিক পরিষদের গদিতে জামাই আদর দিয়ে রেখে দিয়েছে। এই গদি রক্ষার জন্য সন্তু চক্র শাসকগোষ্ঠীর স্বার্থে গত ২৮ বছর ধরে রক্তাক্ত ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত জিইয়ে রেখেছে। এই সময়ে তারা না চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলন করেছে, না ভূমি বেদখল, সেটলার হামলা ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। মুখে চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য রক্ত দেয়ার শপথ নিলেও, বাস্তবে কোন আন্দোলন করেনি। এমনকি যারা আন্দোলন করতে চেয়েছে তাদেরকে তারা বাধা ও হুমকি দিয়েছে। তারা নিজেরাও আন্দোলন করেনি এবং এখনও করছে না, অন্যকেও আন্দোলন করতে দেয়নি ও এখনও করতে দিচ্ছে না। সর্বশেষ প্রকারান্তরে জানা গেছে, সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের নেতাদেরকে সন্তু গ্রুপ জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা তাদেরকে কোন আন্দোলন করতে দেবে না। এমনকি আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ককে হুমকি দেয়া হয়েছে বলে প্রকাশ।
লোকজনকে আন্দোলন না করার হুমকি ইতিপূর্বেও সন্তু গ্রুপ অনেকবার দিয়েছে। যেমন লংগদুতে সেটলার হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ করতে চাইলে সন্তু গ্রুপের নেতারা গৌতম দেওয়ান ও রাণী ইয়েন ইয়েনকে বাধা দিয়েছিল। বিলাইছড়িতে দুই মারমা কিশোরী বোন যৌন হামলার শিকার হলে তার প্রতিবাদ করতে চাইলে রাণী ইয়েন ইয়েনকে সন্তু গ্রুপ বাধা দেয়। একইভাবে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও রাণীকে সে সময় লাঞ্ছিত করেছিল। অর্থাৎ সেনাবাহিনী কর্তৃক দুই মারমা কিশোরী বোনের ধর্ষণের ঘটনা ঢামাচাপা দেয়ার জন্য জেএসএস সন্তু গ্রুপ সে সসময় সেনাবাহিনীর সাথে এক যোগে কাজ করেছিল, যা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ও ক্ষমার অযোগ্য।
পানছড়ি কেন টার্গেট?
আপনারা খেয়াল করলে দেখবেন, যে সব এলাকা সন্তু গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেখানে আজ পর্যন্ত কোন প্রতিবাদ সমাবেশ হয়নি। পার্বত্য চট্টগ্রামে কত হামলা, নিপীড়ন অত্যাচার ও ভূমি বেদখলের ঘটনা ঘটেছে, অথচ তার প্রতিবাদে সে সব এলাকায় কোন মিছিল-সমাবেশ হয় না। কেন হয় না তা বোঝার জন্য বড় পণ্ডিত হওয়ার দরকার পড়ে না। শাসকগোষ্ঠীকে খুশী করতে সন্তু গ্রুপ এভাবে আন্দোলন বিরোধী জাতীয় স্বার্থ পরিপন্থী চরম প্রতিক্রিয়াশীল ভূমিকা পালন করে চলেছে। এখন ইউপিডিএফ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আন্দোলন বন্ধ করার জন্য শাসকগোষ্ঠীর নির্দেশে সন্তু গ্রুপ পানছড়ি ও সাজেকে হামলা চালাচ্ছে। কারণ ইউপিডিএফের নেতৃত্বে এ সব এলাকায় মানুষ সব সময় প্রতিবাদে সোচ্চার থাকে। হামলার জন্য পানছড়িকে বেছে নেয়ার আর একটি উদ্দেশ্য হলো, আন্তর্জাতিক সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করে চোরাচালান ও মাদক ব্যবসার মাধ্যমে অবৈধভাবে টাকা কামাই করা।
এভাবে অর্জিত টাকা দিয়ে তারা কী করে? এই টাকা দিয়ে তারা আন্দোলন করে না, এই টাকা দিয়ে তারা ভারতে ব্যক্তিগতভাবে জমি ও অন্যান্য সম্পত্তি কেনে, ঘরবাড়ি করে অথবা ব্যাংকে জমা রাখে। এছাড়া এই টাকার একটি অংশ দিয়ে তারা অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনে, যা দিয়ে তারা নিজের ভাইয়ের বুক ঝাঁঝরা করে দেয়। এক কথায় সন্তু চক্রের সমস্ত কার্যকলাপ জাতীয় স্বার্থ পরিপন্থী ও প্রতিক্রিয়াশীল, যা শাসকগোষ্ঠীকেই কেবল লাভবান করে, পার্বত্য চট্টগ্রামের দুঃখী অধিকারহারা জনগণকে নয়।
আন্দোলনের নতুন সম্ভাবনাও শেষ
৫ আগস্ট দেশে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন গড়ে উঠছিল। পাহাড়ি ছাত্ররা খাগড়াছড়িতে এক বিশাল সমাবেশ আয়োজন করে। রাঙ্গামাটি শহরেও ছাত্রদের বড় আকারের মিছিল হয়, যদিও এতে সন্তু গ্রুপের সহযোগিতা ছিল না। বান্দরবানের ছাত্রও বিভিন্ন প্রতিবাদী কর্মসূচিতে অংশ নেয়। পাহাড়ি ছাত্রদের এই ক্রমবর্ধমান আন্দোলন দেখে শাসকগোষ্ঠী ভয় পেয়ে যায়। তারা ছাত্রদের এই আন্দোলনে দমনের জন্য ১৯৯০ দশকের মতো একদিকে উগ্র সাম্প্রদায়িক সেটলার সংগঠনগুলোকে মাঠে নামিয়ে দিয়ে দাঙ্গা সৃষ্টি করে, অন্যদিকে জনসংহতি সমিতির সন্তু গ্রুপকে ব্যবহার করে সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের আন্দোলন না করার জন্য হুমকি দেয়। ফলে ছাত্র সমাজের নেতৃত্বে দাবি আদায়ের জন্য প্রবল গণজোয়ার সৃষ্টি হওয়ার যে সম্ভাবনা দেখা দেয়, তা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যায়। এই চরম প্রতিক্রিয়াশীল, দালালি ভূমিকার জন্য ভবিষ্যতে সন্তু গ্রুপ জাতি ও জনগণের কাছে চিরকাল ধিকৃত, নিন্দিত ও তিরস্কৃত হয়ে থাকবে।
দুই শিবির
আজ সমগ্র জনগণ সংঘাতের বিরুদ্ধে ও ঐক্যের পক্ষে। সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন শুরু থেকেই ঐক্যের জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছে। ইউপিডিএফ বহু আগে থেকেই ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। বর্তমানে জেএসএস এম. এন. লারমা গ্রুপও ঐক্যের পক্ষে বলে জানা গেছে। মিজোরামে চাকমারা বিশাল সমাবেশ করে জানিয়ে দিয়েছে, যারা ঐক্য বিরোধী তাদেরকে তারা মিজোরাম থেকে বের করে দেবে। ত্রিপুরা, অরুণাচল, দিল্লি, ফ্রান্স, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, জাপান ও কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে প্রবাসী পাহাড়িদের মধ্য থেকেও ঐক্যের ডাক জোরালো হচ্ছে। আজ পাহাড়ি জনগণ মোটা দাগে দুই শিবিরে বিভক্ত: একদিকে ঐক্যের পক্ষে বিপুল জনগণ ও ছাত্র সমাজ, ইউপিডিএফ, জেএসএস এম. এন. লারমা, তিন রাজা, ধর্মীয় পুরোহিতগণ, বিদেশে প্রবাসী পাহাড়ি সম্প্রদায়। অন্যদিকে রয়েছে ঐক্যবিরোধী শিবির: যার হোতা হলো জেএসএস সন্তু গ্রুপ ও সেনাবাহিনীর সৃষ্ট ও মদদপুষ্ট নব্য মুখোশ ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী। তারা শাসকগোষ্ঠীর নির্দেশে জাতি ও জনগণের ঐক্যের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের পরাজয় অবশ্যম্ভাবী, নিশ্চিত ও আসন্ন।
এই অবস্থায় জনগণের করণীয়
এটা আজ দিবালোকের মতো পরিষ্কার, জনসংহতি সমিতির সন্তু গ্রুপ জনগণের আন্দোলন দমনের হাতিয়ার হিসেবে, জাতীয় অস্তিত্ব ধ্বংসের গুটি হিসেবে শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক ব্যবহৃত হচ্ছে। এই অবস্থায় আপামর জনগণ ও ছাত্র সমাজের একটিই করণীয়। সেটা হলো চরম প্রতিক্রিয়াশীল, শাসকগোষ্ঠীর দালাল ও ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতের জনক সন্তু চক্রকে পরাজিত করে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।
তাই আহ্বান:
১) যারা ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতের বিরুদ্ধে ও ঐক্যের পক্ষে তাদের হাতকে শক্তিশালী করুন। ঐক্যপন্থীদের প্লাটফরমকে বিসস্তৃত ও সংহত করুন।
২) সংঘাতের বিরুদ্ধে ও ঐক্যের পক্ষে সোচ্চার হোন।
৩) নতুন করে সংঘাত সৃষ্টির জন্য সন্তু চক্রকে নিন্দা করুন, ধিক্কার দিন।
৪) ঐক্য বিরোধী সন্তু চক্রকে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকসহ সকল উপায়ে মোকাবিলা করুন।
৫) সন্তু গ্রুপের হুমকিতে কখনই ভীত হবেন না। (সন্তু গ্রুপ যা করছে তা অত্যন্ত অন্যায় ও গণবিরোধী। এজন্য তারাই জনগণকে ভয় পায়। হুমকি দেয়ার কারণ হলো তাদের এই ভয়।)
দেখা যায়, অতীতে সন্তু চক্রের জাতীয় স্বার্থ পরিপন্থী ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতের অপতৎপরতা সফল হয়নি। জনগণ সাহসের সাথে তাদের মোকাবিলা করেছে। ফলে সন্তু চক্র ব্যর্থ হয়ে বার বার ইউপিডিএফের সাথে সংঘাত বন্ধের জন্য সমঝোতা করতে বাধ্য হয়েছে, যদিও প্রতিবারই তারা সে সমঝোতা লঙ্ঘন করেছে। বর্তমানে শাসকগোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে জনগণের ওপর আবার যে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত সন্তু চক্র চাপিয়ে দিয়েছে, তা কখনই সফল হবে না; বরং এই সংঘাত সন্তু চক্রের জন্য ধ্বংসই ডেকে আনবে।
শেষে বলতে চাই, ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতের বিরুদ্ধে জাতির সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করুন। সন্তু চক্রকে পরাজিত করার মধ্যেই জাতির অস্তিত্ব নির্ভর করছে। শাকগোষ্ঠীর দাসানুদাস প্রতিক্রিয়াশীল সন্তু চক্রের বিরুদ্ধে ঐক্যের পক্ষের শক্তিকে অবশ্যই জয়যুক্ত হতে হবে। এর কোন বিকল্প জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।
শাসকগোষ্ঠীর দালাল সন্তু চক্র নিপাত যাক।
জনগণের ঐক্যের শক্তি জয়যুক্ত হোক।
পানছড়ি ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত প্রতিরোধ কমিটি
পানছড়ি ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত প্রতিরোধ কমিটি কর্তৃক প্রকাশিত ও প্রচারিত। ১১ নভেম্বর ২০২৪, পানছড়ি।




সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।