পানছড়িতে পিসিপি’র ৯ নেতা-কর্মীকে আটকের নিন্দা ও প্রতিবাদ, নিঃশর্ত মুক্তির দাবি
খাগড়াছড়ি : বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি) খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি রতন স্মৃতি চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক সুনীল ত্রিপুরা সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে আজ ২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে সেনাবাহিনী ও বিজিবি কর্তৃক খাগড়াছড়ির পানছড়িতে অফিস ঘেরাও করে থানা শাখার সভাপতি হিমেল চাকমা ও কলেজ শাখার সভাপতি এডিশন চাকমাসহ পিসিপি’র ৯ নেতা-কর্মীকে অন্যায়ভাবে আটকের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে আটককৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেছেন।
বিবৃতিতে তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা গাড়িযোগে গিয়ে কোন কারণ ছাড়াই পানছড়ি কলেজে গেট এলাকায় অবস্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের অফিস ঘেরাও করে এবং পরিকল্পিতভাবে অফিসের ভিতর ও চারপাশে তল্লাশি চালায়। এ সময় তারা নিজেদের হেফাজতে থাকা একটি ভাঙা এলজি ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার দেখিয়ে পিসিপি’র ৯ নেতা-কর্মীকে আটক করে নিয়ে যায়।
আটক অন্যান্যরা হলেন- পানছড়ি ডিগ্রী কলেজের এইচএসি ১ম বর্ষের ছাত্র রমেশ চাকমা, সুপ্রিয় চাকমা, সুকিরণ চাকমা, কল্যাণ জ্যোতি চাকমা, সোহেল চাকমা, বিটন চাকমা ও সাধন চাকমা।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এ আটকের ঘটনাকে অন্যায় এবং অফিস থেকে এলজি ও গুলি উদ্ধারকে মিথ্যা ও সাজানো উল্লেখ করে বলেন, সেনাবাহিনী ও বিজিবি’র সদস্যরা নিজেরাই এলজি ও গুলি নিয়ে গিয়ে সেগুলো উদ্ধার দেখিয়ে নাটক সাজিয়েছে।
তারা বলেন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ একটি গণতান্ত্রিক সংগঠন। গঠনলগ্ন থেকে সংগঠনটি গণতান্ত্রিকভাবে তার কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এরই ধারাহিকতায় পানছড়িতেও গণতান্ত্রিকভাবে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। কাজেই, এলজি ও গুলি উদ্ধার নাটক সাজিয়ে পিসিপি নেতা-কর্মীদের আটকের ঘটনা পিসিপি’র ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে দমন করার সুগভীর ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
বিবৃতিতে তাঁরা অবিলম্বে আটক নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, অন্যায় ধরপাকড় ও ন্যায়সঙ্গত গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনের ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবি জানান।
———–
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।