পার্বত্যমন্ত্রণালয়ের দেয়া খাগড়াছড়ি উপজেলার প্রকল্পের কাজে অনিয়ম-আত্মসাতের অভিযোগ
কিন্তু এসব প্রকল্পে নানা ধরণের অভিযোগ এসেছে। সম্প্রতি বিভিন্ন প্রকল্প ঘুরে দেখা যায়, কোনো কোনো প্রকল্পের কাজ এখনো শুরু হয়নি। অনেক প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা বরাদ্দ সম্পর্কেই অবগত নন। আবার ইতিপূর্বে সম্পন্ন করা কাজকে অনেক জায়গায় নতুন প্রকল্প হিসেবে দেখানো হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি ইউনিয়নের ভূবন কার্বারী পাড়ার লক্ষী নারায়ণ মন্দির উন্নয়নে ৫ মে.টন চাউল বরাদ্দ করা হয়। মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি তরুণ মোহন ত্রিপুরা ও কোষাধ্যক্ষ মিলন ত্রিপুরা জানান, তারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থেকে মন্দিরের কাজের জন্য দশ হাজার টাকা পেয়েছেন। এ টাকা দিয়ে নয় বস্তা সিমেন্ট ও এক ট্রাক বালু আনা হয়েছে। কোন কাজ করা হয়নি। চেয়ারম্যানও কোন খোঁজ খবর নেননি।
গোলাবাড়ি ইউনিয়নের গঞ্জপাড়ার ধর্ম্মারুন বৌদ্ধ বিহার উন্নয়নের জন্য ৭ মে. টন চাউল বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এ বৌদ্ধ বিহারের প্রতিষ্ঠাতা রামকমল কার্বারী (৮০) ধর্ম্মারুন বৌদ্ধ বিহারে বসে জানান, তিনি নিজের জমি বিক্রি করে বিহারের ঘর নির্মাণ করেছেন। আর পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে বিহারের চতুর্পার্শ্বে পাকা দেওয়াল নির্মিত হচ্ছে। কোন প্রতিষ্ঠান থেকে সহায়তা নেননি। উপজেলা পরিষদ থেকে বিহার উন্নয়নে খাদ্যশস্য বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে তাকে জানালে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন।
এ ছাড়াও খাগড়াছড়ি ইউনিয়নের স্বধর্ম কানন বৌদ্ধ বিহার ভোজন শালা নির্মাণ ও গোলাবাড়ি ইউনিয়নের বেনুবন বৌদ্ধ বিহার উন্নয়ন প্রকল্প ঘুরে দেখা যায়, বিহার পরিচালনা কমিটি পূর্বেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছিল। এখন বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্য সেই প্রকল্পে ব্যয় করা হয়েছে বলে দেখানো হচ্ছে।