পার্বত্য চট্টগ্রামে পাক আগ্রাসনের ৭৪ বছর উপলক্ষে দীঘিনালায় তিন সংগঠনের আলোচনা সভা

0
58

দীঘিনালা প্রতিনিধি।। ‘ঔপনিবেশিক ষড়যন্ত্র ও পার্বত্য চট্টগ্রামে পাক-আগ্রাসনের ৭৪ বছর’ উপলক্ষে আজ ২০ আগস্ট ২০২১ খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় আলোচনা সভা করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম এবং হিল উইমেন্স ফেডারেশন দীঘিনালা উপজেলা শাখা।

“তথাকথিত ‘দেশ ভাগের’ বলী পাহাড়িদের, প্রকৃত ঘটনা জানতে দিন” এই শ্লোগানে এবং “নব্য পাক হানাদারদের দৌরাত্ম্য রোধে ছাত্র জনতা এক হোন, লড়াই সংগ্রাম জোরদার করুন” এই আহ্বানে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

হিল উইমেন্স ফেডারেশন দীঘিনালা উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মিনাকী চাকমার সভাপতিত্বে ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম দীঘিনালা উপজেলা শাখার নেতা সাধন চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফ সংগঠক অটল চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের দীঘিনালা উপজেলা সভাপতি রিটেন চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মিঠুন চাকম ও দীঘিনালা উপজেলা শাখার সদস্য নয়ন চাকমা।

সভা শুরু করার আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে নিপীড়িত-শোষিত জনগণের মুক্তির লড়াই সংগ্রামে যারা শহীদ তাদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, ঔপনিবেশিক ষড়যন্ত্রের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে আজ নিপীড়নমূলক পরিস্থিতির মধ্যে পাহাড়ি জাতিসত্তাগুলোকে বসবাস করতে হচ্ছে। এক সময় স্বাধীন এই পার্বত্য অঞ্চলকে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকরা অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে দেশভাগের নামে মুসলিম অধ্যুষিত পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্ত করে দেয়। এর ফলে ১৯৪৭ সালের আজকের এই দিনে পাকিস্তান সরকার বেলুচ রেজিমেন্ট পাঠিয়ে জোরজবরদস্তিভাবে সশস্ত্র আগ্রাসন চালিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামকে দখল করে নেয়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত নানা উৎপীড়নের শিকার হতে হচ্ছে পাহাড়িদের।

বক্তারা আরো বলেন, ’৭১ সালে ৯ মাস সশস্ত্র সংগ্রামের পর পাকিস্তানের কবল থেকে মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে বটে, কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকেই পাহাড়িদের উপর জারি রাখা হয়েছে অবর্ণনীয় দমন-পীড়ন, যা দিন দিন আরো বৃদ্ধি পেতে চলেছে। বর্তমানে বিচার বহির্ভুত হত্যা, অন্যায় গ্রেফতার, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো, ভূমি বেদখল-উচ্ছেদ থেকে শুরু করে এমন কোন নিপীড়ন নেই, যা এদেশের শাসকরা করছে না। এই শাসকগোষ্ঠী এখন পাহাড়িদের বিরুদ্ধে নব্য পাক হানাদার বাহিনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।

বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগণের ‍উপর শাসকগোষ্ঠীর দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে এবং নব্য পাক হানাদারদের দৌরাত্ম্য রাধে ছাত্র যুব সামজকে রুখে দাঁড়াতে হবে এবং লড়াই-সংগ্রাম জোরদার করতে হবে।


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আই অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।

Print Friendly, PDF & Email

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.