নিজস্ব প্রতিবেদক ।। পার্বত্য চট্টগ্রামে এখন যত্রযত্র জমি লিজ নেয়ার নামে পাহাড়িদের ভোগদখলীয় জমি-জমা জোরপূর্বক কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। কখনো পর্যটন গড়ে তোলার নামে, কখনো ক্যাম্প স্থাপন-সম্প্রসারণের নামে, কখনো উন্নয়নের নামে চলছে এই লিজ নেওয়া ও অধিগ্রহণের কাজ। এর ফলে পাহাড়িরা তাদের ভোগদখলীয় জমিজমা হারিয়ে চিরতরে উচ্ছেদ হচ্ছেন তাদের নিজ ভিটেমাটি থেকে।
সম্প্রতি রাঙামাটির নান্যাচর উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নে একটি সেনা ক্যাম্প স্থাপনের জন্য জ্যোতি লাল চাকমা (৭৫) নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৭ একর জমি ৭,০০০ টাকায় লিজ নেয়ার ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এ নিয়ে অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এখন দেখা যাক ভূমি বিষয়ে জেলা পরিষদ আইনে কি রয়েছে-
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ আইনের ৬৪ নং ধারায় রয়েছে ভূমি সংক্রান্ত বিশেষ বিধান। এতে (১) এ বলা আছে- আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন-
(ক) রাংগামাটি পার্বত্য জেলার এলাকাধীন বন্দোবস্তযোগ্য খাস জমিসহ যে কোন জায়গা-জমি, পরিষদের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে ইজারা প্রদান, বন্দোবস্ত, ক্রয়-বিক্রয় বা অন্যবিধভাবে হস্তান্তর করা যাইবে না।
(খ) পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন ও আওতাধীন কোন প্রকারের জমি, পাহাড় ও বনাঞ্চল পরিষদের সহিত আলোচনা ও উহার সম্মতি ব্যতিরেকে সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণ ও হস্তান্তর করা যাইবে না।
এখানে দেখা যাচ্ছে, জেলা পরিষদের পূর্বানুমোদন ব্যতীত পাহাড়ে জমি লিজ কিংবা অধিগ্রহণ করা বেআইনি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে- নান্যাচরে যে ৭ একর জমি ৭,০০০ টাকা দিয়ে লিজ নেওয়ার দাবি করা হচ্ছে সেটা কি জেলা পরিষদ থেকে পূর্বানুমোদন নেওয়া হয়েছে? কিংবা জেলা পরিষদ কি এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল রয়েছে?
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।