খাগড়াছড়ি : গত ৩০ জুন ২০১৮ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের দাবিতে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম খাগড়াছড়ি জেলা শাখার উদ্যোগে স্বনির্ভর বাজারে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ শিক্ষার্থীরা যাতে পিসিপি’র মিছিলে অংশগ্রহণ না করে সেজন্য বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেনাবাহিনী নিষেধাজ্ঞা জারি করার অভিযোগ করে পিসিপি জেলা শাখা এক বিবৃতিতে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
পিসিপি খাগড়াছড়ি জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তপন চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা আজ শনিবার (৭ জুলাই) সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত বিবৃতিতে সেনাবাহিনী কর্তৃক এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে দেশের সংখ্যালঘু জাতিসত্তাসমূহের উপর উগ্রবাঙালি জাতীয়তা চাপিয়ে দিয়েছে। এই বিতর্কিত সংশোধনী বাতিলের দাবিতে তিন সংগঠন গত ৩০ জুন উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করেছে। সমাবেশে খাগড়াছড়ি সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে দেড় হাজার ছাত্র-যুব-নারী ও জনতা স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিন সংগঠনের এই গণতান্ত্রিক কর্মসূচীকে বাধাগ্রস্ত করতে সেদিন সেনা-প্রশাসন বাধা প্রদান করে ভণ্ডুল করে দেয়ার চেষ্টা চালালেও সমাবেশটি শান্তিপূর্ণভাবে সফল হয়।
শান্তিপুর্ণ এই সমাবেশে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণসহ শিক্ষার্থীরা যাতে পিসিপি’র মিছিলে অংশগ্রহণ না করে সেজন্য গত ৪ জুলাই খাগড়াছড়ি বিগ্রেড থেকে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, টিউফা স্কুলসহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চিঠি প্রেরণ করা হয় বলে বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, একটি গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ সংবিধানের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। এটি দেশের জনগণ তথা ছাত্র সমাজের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করার চক্রান্ত।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয়, অনতিবিলম্বে সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিঙের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ ও নিয়ন্ত্রণ আরোপের ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবি জানান।
—————–
সিএইচটিনিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।